পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালিয়ামেন্টে প্রতিনিধি প্রেরণ বিষয়ে সকলেরই সমান অধিকার থাকা উচিত বটে ; কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তি ই হস্তে প্রতিনিধি মনোনীত করণের ভার অপিত হইলে, কার্য্যের অনেক অসুবিধা ঘটে। এই জন্য কতকগুলি নির্দিষ্ট-সংখ্যক লোকের উপর এই ভার অর্পিত হইয়া থাকে । ইহরাই ਵੋੱਝ নামে অভিহিত হইয়া থাকেন। পূৰ্ব্বে এই ইলেক্টরের সংখ্যা লোক-সংখ্যা অনুসারে নিযন্ত্রিত হইত না । এখন হইতে লোকসংখ্যা অনুসারে ইলেকটরের সংখ্যা নির্দেশ করাই মিলের প্রস্তাবের উদেশ্য। তিনি এই উদ্দেশে মিষ্টার হেয়ারের প্রতিনিধি-শাসন-প্রণালীর উপর একটা উৎকৃষ্ট বক্তৃতা কবেন ; এবং স্পষ্টাক্ষরে নির্দেশ করেন যে এই প্রণালী ইংলণ্ডে অচিরাং প্রবর্তিত ন হইলে ইংলণ্ডের মঙ্গল নাই। মিলের এই উত্তে না কিঞ্চিৎ পরিমাণে ফলবতী হইল। পালিয়ামেণ্ট আপাততঃ অতি অল্পসংখ্যক কন্‌ষ্টিটুয়েনসীতে এই প্রথা প্রবর্তিত করিলেন । কিন্তু এই আংশিক সংস্কারে সবিশেষ ফলোদয় হইল না । প্রতিনিধি শাসন-প্রণালী বিষয়ে মিলের চেষ্টা ততদূর সফল হইল না বটে, কিন্তু দ্বিতীয় বিষয়ে তিনি অধিকতর কৃতকার্য্যতা লাভ করিলেন। পালিয়ামেণ্টে প্রতিনিধি প্রেরণের অধিকার এতদিন শুদ্ধ পুরুষেরাই হস্তগত করিয়া রাথিয়াছিলেন। র্তাহারা স্ত্রীজাতিকে এতদিন এই প্রকৃতিসিদ্ধ অধিকারে বঞ্চিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। মিল এই অন্যায় নিবারণার্থ স্ত্রীজাতিকে ও এই অধিকার প্রদানের প্রস্তাব করিলেন। যে যে নিয়মে পুরুষজাতিকে ইলেকটর করা হয়, সেই সেই নিয়মে যেন স্ত্রীজাতিকেও ইলেক্টর করা হয়, ইহাই মিলেব প্রার্থনা । পালি রামেন্টে প্রতিনিধি প্রেরণ করার অধিকার এই সময়ে নূতন রিফরম অ্যাক্ট অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিস্তারিত হয়। এমন সময়েও যদি স্ত্রীজাতির তাহাদিগের প্রকৃতিসিদ্ধ অধিকার বিষয়ে উদাসীন থাকেন, তাহা হইলে তাহারা যে কখনও ইহা প্রাপ্ত হইবেন এরূপ সাশা সুদূরপরাহত হয় । এই ভাবিয়া ১৮৬৬ খ ষ্টাব্দে মিল এ বিষয়ে একটা আন্দোলন উত্থাপিত করেন। তিনি অসংখ্য বিখ্যাত লোক র