পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তি ও অনন্ত চিত্ত-প্রসাদজনিত মুখের অধিকারী হইতে হইলে মানবকে গুটি কত গুণ শিক্ষা করিতে হইবে সে গুণগুলি এই (১) জীবনে যাহা সম্ভবপর তাহী অপেক্ষ অধিক কিছু আশা না করা, (২) মানসিক চচ্চায় অনুরাগী হওয়া, (৩ ) হৃদয়ে অকপট প্রণয়, ভক্তি ও স্নেহের সংস্থাপন করা, (৪) এবং মানব সাধাবণের হিতচিন্তায় ও হিতসাধনে জীবন্ত উৎসাহ অনুভব করা। অজ্ঞান, দূষিত রাজবিধি বা দেশাচার, রোগ, শোক, দারিদ্র্য, জর প্রভৃতি দৈবী আপং ,এবং নিষ্ঠুরতা, অত্যাচার প্রভৃতি মানুষী আপং এই গুলি সেই শান্তি ও চিত্তপ্রদাদ-জনিত সুখের প্রধান অন্তরায়। এই অন্তরায় নিচয়ের কতকগুলি অনিবাৰ্য্য, কতকগুলি নিবাৰ্য্য এবং অবশিষ্ট গুলি লঘুকরণীয়। মিল তদীয় হিতবাদ গ্রন্থে এই অন্তরায়-নিচয় সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন: — মনুষ্যের যন্ত্রণার যে গুলি প্রধান কারণ, সে গুলির অধিকাংশই অবিশ্রান্ত যত্নে ০ চেষ্টায় কালে দূরীকরণীয় ; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে এই দূরীকরণকাল অতিবিলম্বিত। যদিও সেই ঘোর মানবমুখদ্রোহি অন্তরায়নিচয়ের সহিত সমরে অসংখ্য পুরুষপরম্পরা নিহত না হইলে তাহাতে জয়লাভের সম্ভাবনা নাই, তথাপি, র্যাহাদিগের বুদ্ধিবৃত্তি ও হৃদ্ধত্তি অতিশয় পরিমার্জিত, তাহারা শুদ্ধ সেই সংঘর্ষেই এরূপ বিমল সুখ অনুভব করিতে পারেন, যে মুখের সহিত কোনও স্বার্থসাধন-জনিত শুগের বিনিময় হইতে পারে না"। মিলের জীবন যে কিরূপ অবিচ্ছিন্ন প্রফুল্লতা, অদমনীয় উৎসাহিতা, অবিচলিত অনুসন্ধিৎসা ও অনন্ত শান্তির আধার ছিল, তাহ পূর্বে যে সমস্ত কথিত হইল তদার নিঃসন্দিগ্ধরূপে প্রমাণীকৃত হইতেছে। মিল, যে জীবনের শেষভাগে সমাজ হইতে অবস্থত হইয়াছিলেনু এবং তিনি যে বর্তমান সমাজের বিরুদ্ধে নানা কথা বলিয়ছিলেন, তজ্জন্য তিনি কতক গুলি লোকের নিন্দাভাজন হইয়াছেন। কিন্তু তিনি র্যে সমাজ হইতে দূরে অবস্থিত হইয়াও সমাজ বিষয়ে উদাসীন ছিলেন না । • Utilitarianism, p. 22.