পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৮৫

;ురి " জন ঘসুয়াট" মিলের জীবনবৃত্ত । সুশিক্ষা বিধানই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ . কি ধনী, কি নির্ধন, কি ভদ্র, কি অভদ্র, কি উচ্চ, কি নীচ-সকলেষ্ট যাহাতে বিদ্যাভ্যাস করে, রাজার তদ্বিষয়ে সবিশেষ দৃষ্টি রাখা উচিত। প্রাচীন ও নবীন ভাষা সকলের ཨ་རྫོར་ শীলনের সহিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চর্চা যাহাতে দিন দিন পরিবৰ্দ্ধিত হয়, তদ্বিষয়েও রাজার বিশেষ চেষ্টা করা উচিত। ধৰ্ম্মোপদেশ বিষয়ে রাজার হস্তক্ষেপ করা উচিত নহে। প্রজাদিগকে ধৰ্ম্মবিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া রাজার-অবশ্য কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য। মিলের শিক্ষাবিষয়ক মতানুসারে ভারতের শিক্ষাপ্রণালী যে কিয়ৎ পরিমাণে অনুস্থত হইতেছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই । মিল যে ভারতের পরমহিতৈষী ছিলেন তাহার দ্বিতীয় প্রত্যক্ষ প্রমাণ রাজ্ঞী কর্তৃক স্বহস্তে ভারতের শাসনভার গ্রহণকালে মিল কর্তৃক ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর পক্ষ সমর্থন । আমরা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি যে ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে যৎকালে রাজ্ঞী ভারতের শাসনভার ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর নিকট হইতে নিজের হস্তে গ্রহণ করেন, তখন মিল, তাহার ভীষণ প্রতিবাদ করেন । রাষ্ট্রীকে এই কাৰ্য্য হইতে নিরস্ত করিবার জন্য ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী যে আবেদন করেন, মিল ই তাহা লিখিয়া দেন । রাজ্ঞীর স্বহস্তে ভারত-শাসনভার গ্রহণের প্রতিকুলে মিল, যে সকল যুক্তি প্রদর্শন করিয়াছিলেন তাহার, সংক্ষিপ্ত বিবরণ পূর্বেই প্রদত্ত হইয়াছে। তৎকালে কি ভারতবাসী, কি ব্রিটনবাসী—কেহই মিলের যুক্তির গভীরতার অভ্যস্তরে প্রবেশ করিতে পারেন নাই । মিলের পরামর্শের অনুসরণ না করার অশুভ ফল ভারতবাসীদিগকে এক্ষণে পদে পদে ভোগ করিতে হইতেছে। অযোধ্যার বেগমদিগের সর্বস্বাপহরণের জন্য ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পাe নীর ভারত-প্রতিনিধি লড় হেষ্টিংসের দুর্দশার অল্প পরিসীমা ছিল, না । কিন্তু কুমা বাই লক্ষ্মীবাই প্রভৃতির প্রতি সাধুজন-বিগঠিত ব্যপহারের জন্য রাজ্ঞী-প্রতিনিধি লড নর্থক্রকের কি হইল ? গ্নৈসংহের o প্রতি অসদ্ব্যবহার করায় হেষ্টিংসের কি না হইয়ছিল ? কি হতভাগ্য : গুহকুমারের প্রতি নির্যাতন করার লর্ড নৰ্থব্রুক আরল উপাধি উন্নীত,