পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলের ধৰ্ম্ম ও নীতি শিক্ষা । ३४ Yমিলের শৈশবকালীন ইংলণ্ডের নীতির অবস্থা অপেক্ষ তাহা বাৰ্দ্ধক্যকালীন ইংলণ্ডের নীতির অবস্থা অনেক পরিমাণে উন্নত হইয়। উঠিয়াছিল। মিল বলিয়াছেন স্বাধীন চিন্তা,স্বাধীন তর্ক এখন তার পূৰ্ব্বে ন্যায় ইংলণ্ডে পাপ ৰলিয়া পরিগণিত হইত না । জেমস মিল্ এ সময় জীবিত থাকিলে তাহার ধৰ্ম্মবিষয়ক মত ব্যক্ত করিতে সঙ্কুচিত হইতেন না। যদিও এখনও স্বাধীনভাবে মনের ভাৰ ব্যক্ত করার অপরাধে সময়ে সময়ে কেহ কেহ জীবিকানাশ, পদচ্যুতি,গৌরবহানি, ও জাতিভ্রংশ প্রভৃতি গুরুতর দণ্ডে দণ্ডিত হইয়া থাকেন ; তথাপি সাধারণতঃ এক্ষণে এসকল বিষয়ে যে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিকতর স্বাধীনতা প্রবর্তিত হইয়াছে তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । যাহারা জ্ঞানমার্গে অতিশয় অগ্রসর–পদ ও গৌরবের অনুরোধে যাহাদিগের মত অবহেলা করা অনেকের পক্ষে কঠিন—অথচ ধৰ্ম্ম-বিষয়ক মত সকল ষণহাদিগের নিকট ভ্রমসম্বুল ও মানবজাতির অহিতকর বলিয়া প্রতীত হয়,—র্তাহাদিগের নির্ভয়ে আত্মমত প্রকাশ করিবার সময় এক্ষণে উপস্থিত হইয়াছে। আর র্তাহাদিগের গুপ্তভাবে থাকা তাল দেখায় না। অনেকের সংস্কার এই যে—যাহার ঈশ্বরে বিশ্বাস নাই, তাহার অন্তর ও মন কখনই পবিত্র হইতে পারে না । জেমস মিল প্রভৃতি মহোদয়েরা নিৰ্ভয়ে আত্মমত প্রকাশ করিলে এই সংস্কার অচিরাৎ লোকের মন হইতে দুরীভূত হইত সন্দেহ নাই। যে সকল মহাত্মা জগতের অলঙ্কার বলিয়া পরিগৃহীত হইয়াছেন,—য হাদিগের জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বত্র প্রখ্যাত রহিয়াছে,-বিশেষ অনুসন্ধান করিলে জানা যায় যে তাহাদিগের অধিকাংশই ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত বিশ্বাসবিরহিত ছিলেন। র্তাহাদিগের সংস্কার ছিল যে র্তাহাদিগের এই মত ব্যক্ত করিলে লোকের মনে ধৰ্ম্ম-বন্ধন শিথিলিত হইয়া, জগতের অমঙ্গল সংঘটিত হইবে। এই জন্যই তাহারা আপনাদিগের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত সকল এত গোপন করিতেন। কিন্তু বিশেষ অনুধাবন করিয়া দেখিলে তাহাদিগের এ সংস্কার সম্পূর্ণ অমূলক বলিয়া প্রতীত হইবে। জেমস মিলের ধৰ্ম্ম ও নীতি বিষয়ক মত সকল গ্রীক দার্শনিকদিগে % ন্যায় ছিল। এই জন্য তিনি পুত্রকে শৈশবেই গ্রীক দার্শনিকদিগের