পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N)8 জন ষ্টয়াট/মিলের জীবনবৃত্ত । লোকে যখন নীতি ও ব্যবহার বিষয়ক কোন প্রিয় মত যুক্তি দ্বারা প্রতিপন্ন করিতে অক্ষম হয়, তখন ইহা প্রকৃতির নিয়ম ” “ অভাস্ত যুক্তি ” ও “ কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি ” প্রভৃতির অনুমোদিত বলিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর চক্ষে ধূলিমুষ্টি নিক্ষেপ করিতে চেষ্টা করে। কিন্তু কাৰ্য বা মতের কৰ্ত্তবাকৰ্ত্তব্যতা যুক্তি ও প্রমাণ দ্বারা প্রতিপন্ন না করিয়া, আমরা যাহা ভাল বুঝিতেছি বা যাহা পুরুষানুক্রমে চলিয়া আসিতেছে, তাহাই “ কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির ” “প্রকৃতির নিয়মের” ও “অভ্রান্ত যুক্তির ” অনুমোদিত, শুদ্ধ ইহ বলিলেই এক্ষণে আর পর্যাপ্ত হয় না । বেনথাম এরূপ আসার বেদবাক্যসকলের মূলে সৰ্ব্বপ্রথমে কুঠারাঘাত করেন। তিনি নৈতিক রাজ্যে এক নুতন যুগের আবির্ভাব করেন । “ যাহ। জগতের অত্যন্ত হিতকর ও অপরিসীম সুখের উৎপাদক • তাহার মতে তাহাই “ কৰ্ত্তব্য বুদ্ধির ” “প্রকৃতির নিয়মের” ও “অভ্রান্ত যুক্তির” অনুমোদিত । কারণ প্রকৃতি বা ঈশ্বর যাহাকেই আমরা জগতের মূল কারণ বলিয়া নির্দেশ করিনা কেন, জগতের হিত ও সুখ যে র্তাহার জগৎকার্য্যের মুখ্য উদ্দেশ্য তদ্বিষয়ের আর মতান্তর নাই । সুতরাং “যাহাই জগতের হিত ও মুখের উৎপাদক” তাহাই “কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির” প্রকৃতি বা ঈশ্বরের নিয়মের" ও “অত্রাস্ত যুক্তির’ অনুমোদিত এবিষয়ে ও আর মতভেদ হইবার সম্ভাবনী নাই। তবে কোন কাৰ্য্য জগতের হিত ও সুখের উৎপাদক, কেবল ইহার নির্ণয় যুক্তি ও প্রমাণ-সাপেক্ষ। সুতরাং কোন কাৰ্য্য উচিত কি না, ইহার মীমাংসাস্থলে সেই কাৰ্য্যের “কর্তব্যবুদ্ধি’ প্রভৃতির অনুমোদনীয়তা ব্যক্ত না করিয়া, তাহা জগতের হিত ও সুখকর কিনা যুক্তি ও প্রমাণ দ্বারা কেবল তাহাই প্রতিপন্ন করা উচিত । যুক্তি ও প্রমাণের পরিবর্তে “কৰ্ত্তবাবুদ্ধি প্রকৃত্তি বা ঈশ্বরের নিয়ম, ও অভ্রান্ত যুক্তির অনুমোদনীয়” শুদ্ধ এই কথা গুলি নির্দেশ করিলেই চলিবে না। মিল, বেনথামের নিকট নীতিবিষয়ক পূৰ্ব্বোক্ত कुछेक्नी Rt55–fĘSRTH ( Principle of utility ) aste gotātī (Doctrine of happiness ) শিক্ষা করেন । এই দুইটী মত র্তাহার হৃদয়ে ও মনে গ্রথিত হইয়া যায়, ইহাই তাহার নীতির, এবং ইহাই হার বিজ্ঞানের, .