পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৭৭

૫ < ”卤资 ংস্কয়াট Tমলের জীবনবৃত্ত । মুখমণ্ডলে প্রতিভাত হইত। জগতের অসংখ্য প্রলোভনপরম্পরাও উাহার অন্তর্নিহিত গভীর বেদনাকে বিস্মৃতৃিজলে ভাসাইতে পারিল না ! এই মেঘ ক্রমেই গাঢ়তর হইতে লাগিল। তিনি পুস্তকরাশিতে চিত্তের বিনোদনোপায় অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু পুস্তক পাঠে তাহার মনে আর পূৰ্ব্বের ন্যায় ভাবোদয় হইল না । বোধ হইল যেন তাহার মানবপ্রেম ও উৎকর্ষপ্রিয়তা একবারে পর্য্যবসিত হইল । তিনি মিজের গভীর বেদনা কাহারও নিকট ব্যক্ত করিতে ভাল বাসিতেন না । তিনি জানিতেন যে, অপরের নিকট র্তাহার এই যন্ত্রণার বিশেষ কারণ নাই । সুতরাং নিষ্কারণ যন্ত্রণ কাহারও সহানুভূতি উদ্ভূত করিতে পারে মা। এ অবস্থায় সদুপদেশ অতিশয় প্রার্থনীয় ; কিন্তু কাহার নিকট বাইলে সেই সছুপদেশ প্রাপ্ত হইবেন, তিনি জানিতেন না । কোন নিবাৰ্য্য বিপদ পড়িলে, তিনি পিতার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করিতেন । কিন্তু এরূপ অনিবাৰ্য্য কাল্পনিক বিপৎপাতে র্তাহার, নিকট সাহায্য প্রার্থনা নিতান্ত হাস্যকর । তিনি জানিতে পারিলেন যে র্তাহার হৃদয়ে যে গভীর চিস্তাম্রোত প্রবাহিত হইয়াছে, পিতা তদ্বিষয়ে কিছুই অবগত নহেন । কিন্তু তিনি জানিতেন, পিতা অবগত হইলেও তাহা দ্বারা এ রোগের প্রতীকারের সম্ভাবনা নাই । তাহার শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে পিতৃপরিশ্রমের ফল ; পিতা স্বপ্নেও ভাবেন নাই যে সে শিক্ষার পরিণাম এরূপ বিষময় হইবে । মিল এই সংবাদ দিয়া পিতার হৃদয়ে যাতনা দিতে ইচ্ছা করেন নাই । তিনি জানিতেন যে র্তাহার রোগ এক প্রকার অচিকিৎস্য অথবা পিতৃ-চিকিৎসাতীত হইয়া দাড়াইয়াছে। তাহার বন্ধুবর্গের মধ্যে এমন কেহ ছিলেন না, যাহার নিকট তিনি হৃদয়ের যাতনা ব্যক্ত করিলে সহানুভূতি পাইতে পারিতেন । সুতরাং এ বিষয়ে তিনি যতই ভাবিতে লাগিলেন ততই হতাশা বলবতী হইতে লাগিল । ১% মিল যে শিক্ষা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহাতে তাহার দৃঢ় বিশ্বাস জীষ্ময়াছিল, যে সৎ ও অসৎ উভয় প্রকার নৈতিক মানসিক ভাবই "আমাদের সংস্কারের (Association) ফল ; আমাদের যে কোন বিষয়ে ৰীতি এবং যে কোন বিষয়ে ঘূণা জন্মে, আমরা যে কোন বিষয়ের