পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( . ) স্থাপন করিয়াছিলেন ; সেখানে অসংখ্য দীন-দুঃখী প্ৰত্যহ আহার পাইত । সম্বৎ ১৫৯৫, ইং ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দে ৬৯ বৎসর বয়সে গুরু নানক দেহত্যাগ করেন। দেহরক্ষার পূর্বে রাতী নদীতীরে উপস্থিত হইয়া, এক শুষ্ক বৃক্ষতলে উপবেশন করেন ; তঁাহার স্পর্শে শুষ্ক বৃক্ষ মুঞ্জরিত হইয়া উঠে, এবং সেখানে অসংখ্য লোক তঁহার মহা-প্ৰস্থান দর্শন করিবার জন্য সমবেত হয়। তিনি দেহরক্ষা করিবেন বলিয়া, সেই বৃক্ষ-নিম্নে সৰ্ব্বাঙ্গ বস্ত্ৰে আচ্ছাদিত করিয়া শয়ন করেন। তখন তাহার হিন্দু ও মুসলমান শিষ্যগণের মধ্যে মহা কলহ উপস্থিত হয়। হিন্দুরা বলেন, নানকের মৃত্যুর পরে তঁাহারা তাহার দেহ দাহ করিবেন ; মুসলমানগণ বলেন, তঁাহারা গোর দিবেন। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে, কোন প্রকার সামাজিক নিয়মপদ্ধতি সম্বন্ধে গুরু নানকের কোনও উপদেশ ছিল না। তিনি বিবাদ শুনিয়া ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “তোমরা উভয় দলে আমার উভয় দিকে কতকগুলি পুষ্প স্থাপন কর। প্ৰাতে আসিয়া যদি হিন্দুগণ দেখেন যে তঁহাদের পুষ্পগুলি শুষ্ক হয় নাই, তবে তাহারা দাহ করিবেন ; আর মুসলমানগণ যদি দেখেন যে তঁহাদের পুষ্পগুলি শুষ্ক হয় নাই, তবে তঁাহারা গোরণদিবেন।” তদনুসারে উভয়দল গুরুজীর উভয় প্রশ্বে পুষ্প-স্থাপন করিয়া, নিজ নিজ গৃহে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করেন। পরদিন প্ৰাতে আসিয়া সকলে দেখিলেন, পুষ্পগুলি পড়িয়া রহিয়াছে, একটাও শুষ্ক হয় নাই, কিন্তু গুরুজী কোথায় অন্তহিত হইয়াছেন। তঁহার শয়ন-স্থানেও অনেকগুলি সদ্য-প্ৰস্ফুটিত পুষ্প পড়িয়া রহিয়াছে, কিন্তু দেহ নাই। এইরূপে শিখদিগের আদিগুরু মহাত্মা নানকাজী পৃথিবী হইতে অন্তহিত হন। নানকের দুই পুত্র ও এক কন্যা জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। কিন্তু তিনি দেহরক্ষার পূৰ্ব্বে ধৰ্ম্মের গদি বা শিখদিগের গুরুত্ব তঁহার কোন পুত্রের