পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) মহাশক্তি পরস্পর প্রায় সম-সাময়িক ছিলেন, বলা যাইতে পারে। শঙ্করাচাৰ্য্যের বিংশ বৎসর পরে গুরু নানক, এবং গুরু নানকের ষোড়শবৎসর পরে লীলাবতার শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তখন সমগ্ৰ ভারতাকাশ ধৰ্ম্মের এক উজ্জল ও নিৰ্ম্মল দীপ্তিতে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছিল। ভারতের ভবিষ্য-যুগের ধৰ্ম্ম, প্ৰধানত এই তিন মহাপুরুষ কর্তৃকই নিয়ন্ত্রিত হইয়াছিল। বৰ্ত্তমান সময়ে সমস্ত সাধুসমাজের “কুম্ভ-মেলা” নামক যে-এক বিচিত্র ও অতি পুরাতন সম্মিলন আছে, উহাতে এই তিন মহাপুরুষ কর্তৃক প্ৰবৰ্ত্তিত ও পরিপুষ্ট সন্ন্যাসী, উদাসী ও বৈষ্ণব নামক তিন সম্প্রদায়ই প্ৰধান বলিয়া গণনীয় হইয়া থাকে ; অন্যান্য সম্প্রদায় ইহাদেরই আশ্রয়ে থাকিয়া শাখা প্ৰশাখারূপে বৰ্দ্ধিত হইতেছে। নানক, পিতামাতার একমাত্র পুত্র ছিলেন ; ইতিপূৰ্ব্বে ত্ৰিপতা এক কন্যা প্রসব করিয়াছিলেন, নানক তঁাহার শেষ সন্তান। মাতৃগৰ্ত্ত হইতেই যেন তীব্র বৈরাগ্য লইয়া, গুরুন্নানক ভূমিষ্ঠ হইয়াছিলেন। অন্যান্য বালকের ন্যায় তাহার চঞ্চলত ছিল না । তিনি শিশুকাল হইতেই যোগীদের ন্যায় আসন করিয়া, স্থির হইয়া বসিয়া থাকিতে ভালবাসিতেন। রাস্তায় কোন সাধুসন্ন্যাসী দেখিলেই গৃহে ডাকিয়া লইয়া আসিতেন, এবং সম্মুখে যাহা পাইতেন, তাহাই দিয়া দিতেন। BBBS BB BBBS BBD S DDD DBDBD BDB DBD DDD DDD S তিনি গ্ৰাম্য-গুরুমহাশয় গোপালের নিকট দেশীয়-ভাষা, বৈদ্যনাথ নামক পণ্ডিতের নিকট সংস্কৃত-ভাষা এবং কুতবুদ্দিন নামক মোল্লার নিকট পারস্তা-ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন। বাল্যকালে পাঠশালায় বিদ্যাভ্যাসের সময়, প্ৰত্যেক বর্ণমালার আদ্য-অক্ষর লইয়া তিনি যে সুন্দর বৈরাগ্য-ব্যঞ্জক কবিতাবলী রচনা করিয়াছিলেন, তাহ পাঠ