পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( وه ) একদা তিনি এক নদীতে স্নান করিতে গমন করিয়া, মানের নিমিত্ত অবগাহন করা মাত্র অদৃশ্য হইয়া যান। যে-তৃত্য র্তাহার সঙ্গে ছিল, ঐ ভূত্য আসিয়া সকল্পের নিকট নানকের জলমগ্ন হইবার সংবাদ দেয়। তদনুসারে তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিয়াও তেঁাহাকে না পাইয়া আত্মীয়-স্বজনেরা তঁহার মৃত্যু নিৰ্দ্ধারণ করেন। ইহার তিন দিন পরে তিনি একদিবস হঠাৎ স্বগৃহে প্ৰর্তাবৰ্ত্তন করেন ; তঁহাকে সুস্থশরীরে ফিরিতে দেখিয়া, সকলেই আশ্চৰ্য্যাম্বিত হয়। এইরূপ প্ৰবাদ আছে যে, বিষ্ণুদূতেরা আসিয়া তঁহাকে বৈকুণ্ঠে লইয়া গিয়াছিলেন। তথায় তঁহার দীক্ষা হয়, এবং পৃথিবীতে পরমাত্মা শ্ৰীগুরু-মহিমা প্রচার করিবার জন্য আদিষ্ট হন । এই ঘটনার পরে সমস্ত বিষয়াদি দরিদ্রদিগকে বিতরণ করিয়া দিয়া, গুরু-নানক ধৰ্ম্ম-প্রচারের জন্য বহির্গত হন। তিনি প্রথমেই প্রচার করেন যে, “হিন্দু কি মুসলমান বলিয়া কেহ নাই।” এই উপদেশের যথার্থ তাৎপৰ্য্য বুঝিতে না পারিয়া, সকলে ক্ষুন্ন হয়, এবং তাৎকালিক নবাব দৌলত খাঁ, তঁহাকে এই বাক্যের অর্থ জিজ্ঞাসা করিবার জন্য ডাকিয়া পাঠান। যখন নানক, নবাবসমীপে উপস্থিত হইলেন, তখন মধ্যাকু-নেমাজ পাঠের সময় , কাজী সাহেব নবাব-ভবনের বিস্তৃত প্ৰাঙ্গণে নেমাজ পাঠ করিতেছিলেন । নানক, কাজী সাহেবের দিকে চাহিয়া মৃদু মৃদু হাস্ত করিতে লাগিলেন। কাজী সাহেবকে এই প্ৰকার অপমান করায়, নবাব ক্ষুব্ধ হইয়া নানকের নিকট ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । নানক উত্তর দিলেন যে, কাজী সাহেবের নেমাজ কখনও স্বর্গে পৌছিবে না ; কারণ, যখন তিনি প্রার্থনা করিতেছিলেন, তখন তঁাহার মন পরমাত্মার দিকে ছিল না ; পরন্তু প্ৰাঙ্গণস্থিত কুপ-সমীপবৰ্ত্তী এক সদ্য-জাত মেষ-শাবকের