পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ы” ) স্বরূপ-বিকাশের মধ্য দিয়াই পরমাত্মার প্রকাশ। ইহা ব্যতীত অন্য কোন দ্বিতীয় পন্থা নাই। তুমি তোমার উপাস্তকে হরি বল, তার বল, পাৰ্ব্বতি বল, গণেশ বল, সুৰ্য্য বল, ব্ৰহ্ম বল, আল্লা বল, যাহাঁই বল না 'কেন, তাহাতে আপত্তির কোন কারণ নাই । নিরাকার বল,-সাকার অস্বীকার কর, কোন আপত্তি নাই ; আবার সাকার বল,-নিরাকার অস্বীকার কর, তাহাতেও কোন আপত্তির কারণ নাই। কেননা, তুমি যদি সদগুরুর আশ্রয় পাইয়া থাক, তবে তাহার আদেশ অনুযায়ী সাধন করিতে করিতে সমস্ত সত্য-তত্ত্বই তোমার নিকট প্রকাশিত হইবে। পূর্বে ভগবৎ-তত্ত্ব, পরের-মুখেঝাল-খাওয়ার-হ্যায় অবগত হইয়া, তৎপরে তঁহার উপাসনা নয়, পরন্তু উপাসনা-বলেই তাহার স্বরূপ-তত্ত্ব প্ৰকাশিত হইবে । সুতরাং তোমার কোন প্ৰকার সাকার-নিরাকার লইয়া তর্কের আবশ্যক নাই । তুমি হিন্দু হও, হিন্দুর সদাচার অবলম্বন কর; মুসলমান হও, মুসলমানের আচার লইয়া থােক ; খৃষ্টান হও, খৃষ্টানের ন্যায় জীবনযাপন কর; কেবল মাত্ৰ সদগুরুর আশ্রয় লও, এবং র্তাহার আদেশ অবিচারে মানিয়া যাও ; তবেই যথার্থ সত্যধৰ্ম্ম লাভ হইবে। ইহাই গুরু নানকের ধৰ্ম্মের মূল-তত্ত্ব। এই প্রকার একান্ত নৈঠিক-ধৰ্ম্ম যিনি প্রচার করেন, তাহার কোন প্রকার ভেদ-বুদ্ধি থাকিতে পারে না ; তিনি বিধি-নিষেধের অতীত। সুতরাং বলা বাহুল্য, গুরু নানকের বিন্দুমাত্র জাতি-বুদ্ধি ছিল না। হিন্দু ও মুসলমান, দলে দলে তঁহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিল। কেননা, তিনি হিন্দুকে বলিতেন না, তুমি জাতিভেদ ছাড় ; কিম্বা মুসলমানকে বলিতেন না, তুমি জাতিভেদ মান। বস্তুত ধৰ্ম্ম-জীবন পূৰ্ব্বে, মতের বিশুদ্ধত তাহার পরে। কতকগুলি মত মানিয়া লইয়া, পরে সাধন-ভজন করিতে হইবে, তাহা নহে ;