পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১০০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬০
জয়তু নেতাজী

এই দুইটিই ইংরেজের প্রধান অস্ত্র, ইহার একটিও শিথিল করিলে, তাহার রাজত্বই বৃথা হইয়া যাইবে। অতএব কোনরূপ রফা বা আপোস করা তাহার পক্ষে আত্মহত্যারই নামান্তর। এই কথাটি ভাল করিয়া বুঝিয়া না লইলে আমাদের সকল প্রয়াস ও সকল চিন্তাই মিথ্যা হইবে। ইংরেজ কোনরূপ রফা করিবে না, করিতে পারে না―সে হয় তাহার সেই নীতির অনুসরণ করিয়া ভারতবর্ষের অষ্টপৃষ্ঠে নাগপাশবন্ধন দৃঢ় করিয়া রাখিবে, নয় একেবারে এদেশ ছাড়িয়া যাইবে। ছাড়িয়া যাইবে কেন? এবং কখন?[১] কোন প্রয়োজন আছে কি? তাহার শক্তি কিছু কমিয়াছে? সেই নীতির প্রয়োগ কি পূর্ব্বাপেক্ষা দুরূহ হইয়াছে? সেই ভেদনীতি কি আরও জয়যুক্ত হয় নাই? জনসাধারণকে সে ভয় করে সত্য―ভয় করে বলিয়াই, সে দুর্ভিক্ষের অবস্থাকে আরও কঠিন ও স্থায়ী করিয়া তুলিয়াছে। সে জানে মানুষকে পশুতে পরিণত করিবার এমন অব্যর্থ উপায় আর নাই, তাই গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা―যাহার নাম হইয়াছে Civil Supply―তাহাকে নিজের বজ্রমুষ্টিতে শক্ত করিয়া ধরিয়াছে―যত চেষ্টা, যত চুক্তি, যত রফা কর―উহাকে এমন করিয়া বাঁধিয়া লইয়াছে যে, ঐ গ্রাসাচ্ছাদনের ভার যদি দেশীয়দের হাতেই তুলিয়া দেয়, তবে দেখা যাইবে, অভাবের

  1. যদি শেষ পর্য্যন্ত ছাড়িতেই হয় তবে তাহাতেও মুল স্বার্থ বজায় থাকে এমন একটা নীতি সে পালন করিয়াছে। পরিশিষ্টে “গান্ধী ও গান্ধী-কংগ্রেস সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র” দ্রষ্টব্য।