পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 গান্ধী-মন্ত্র ও সেই মন্ত্রে দীক্ষিত কংগ্রেসী ভারতের কথা বলিয়াছি, এইবার উহার প্রায় সম্পূর্ণ বিপরীত যে আর এক তন্ত্র তাহার কথা বলিব। এই তন্ত্র গান্ধী-ভারতের নহে, ইহা বাংলাদেশের―বাঙালীর; পন্থাও স্বতন্ত্র। ইংরেজ-আগমনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এই দেশে, একটা বিশিষ্ট জাতির ধ্যানে ও জ্ঞানে ভারতীয় সংস্কৃতি এক নূতন রূপ পরিগ্রহ করিতে আরম্ভ করিল, এই বাংলাদেশেই ভারতের সেই সমগ্র অতীতের সহিত বর্ত্তমানের একটা বােঝাপড়া অবশ্যম্ভাবী হইয়া উঠিল। এইখানেই সেই অতীতের দুয়ার সবলে ভাঙ্গিয়া অত্যুগ্র বর্ত্তমান প্রথম প্রবেশ করিয়াছিল,―সে আসিয়াছিল ঐ বণিকদস্যুর ছদ্মবেশে, তখনও,পুর্ব্বসীমান্তের এই নিভৃত পল্লী-প্রদেশ―কবির ভাষায়

“শান্তমুখে বিছাইয়া আপনার কোমল নির্ম্মল শ্যামল উত্তরী
তন্দ্রাতুর সন্ধ্যাকালে শত পল্লীসন্তানের দল ছিল বক্ষে করি।”

 এই ইংজেদের মত মানুষ ভারতবর্ষে পূর্ব্বে কেহ দেখে নাই, বাঙালীও তাহার আকারে-প্রকারে ও ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া গেল, এবং তৎক্ষণাৎ তাহাকে “গঙ্গোদকে অভিষিক্ত করিয়া” নিজ গৃহে চুপে চুপে বরণ করিয়া লইল। সেই অতিথি যখন তাহার অজ্ঞাতসারে সর্ব্বস্ব-হরণ আরম্ভ করিয়াছে, তখন এই দারিদ্র্যব্রতী ভাবস্বপ্নাতুর তত্ত্বপিপাসু জাতি তাহারই মুখে এক নূতন জগতের