পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

॥৹

বুঝিবার চেষ্টা করিয়াছি, এবং তাহারই অভিনব ও যুগোচিত অভিব্যক্তিরূপে ঐ চরিত্র ও ঐ প্রতিভার ব্যাখ্যা করিয়াছি। ইহার প্রয়োজন ছিল; কারণ,সুভাষচন্দ্র ভারতের রাজনীতি-ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্টনীতিকে জয়যুক্ত করিতে চাহিয়াছিলেন; সেই নীতি এমনই যে, তাহার শক্তি ও দীপ্তি যেমন সকলকে সচকিত করিয়াছিল, তেমনই অপর একটা পূর্ব্ব-প্রতিষ্ঠিত ও বহুজন-বন্দিত নীতিকে আক্রমণ করিয়া তাহার সুস্পষ্ট প্রতিবাদরূপে আত্মপকাশ করিয়াছিল। এই নীতিই সুভাষচন্দ্রের ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার মনোময় বিগ্রহ। এজন্য সুভাষচন্দ্রকে চিনিতে ও বুঝিতে হইলে, গান্ধী-কংগ্রেসের সহিত তাঁহার যে বিরোধ, তাহার স্বরূপ ও মূল কারণ উত্তমরূপে অনুধাবন করিতে হইবে, তাহাতেই সেই নীতি অতিশয় সুস্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হইবে।

 এই পুস্তকে সেই বিরোধের তথ্য ও তত্ত্বঘটিত আলোচনা আমি একটু বিশেষভাবেই করিয়াছি, এবং সেই সঙ্গে, সুভাষচন্দ্রকে বুঝিবার জন্য, অথবা আমি যতটুকু বুঝিয়াছি তাহারই সাক্ষ্যস্বরূপ, কয়েকটি প্রধান তথ্য অবলম্বন করিয়া, অতিশয় সহজ যুক্তি ও ঘটনা-প্রমাণে সেই বিরোধের যে বিবৃতি ও ব্যাখ্যা করিয়াছি, তাহা আজিকার দিনে অধিকাংশ পাঠকের প্রীতিকর হইবে না জানি; কিন্তু আমার গত্যন্তর ছিল না, কারণ সত্যের অপলাপ করিলে সুভাষচন্দ্রকেও মিথ্যার দ্বারা কলঙ্কিত করিতে হয়; নেতাজীকে যাঁহারা সত্যই শ্রদ্ধা করেন তাঁহারা ইহা মনে রাখিবেন। কিন্তু প্রতিকার যে হইবে না তাহার কারণ চিন্তা করিলে আরও দুঃখিত হইতে হয়। প্রথমতঃ, কংগ্রেসের গান্ধীবাদ এখন একটা ধর্ম্মমতের মত জনসাধারণের চিত্ত অধিকার করিয়াছে এবং ধর্মবিশ্বাস-মাত্রেই অন্ধ, তাহা কোন যুক্তি মানে না, যুক্তি চাহে না। দ্বিতীয়তঃ, দেশের সকল পত্র ও পত্রিকা গান্ধীমতাবলম্বী; এই সকল