পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জয়তু নেতাজী

সেই বীর্য্যের অবতার, সেই বীর্য্য ও সেই অমৃত-পিপাসা তিনি আপনার বক্ষ হইতে সমগ্র জাতির বক্ষে সঞ্চারিত করিয়াছেন। তিনি বিবেকানন্দেরই উত্তরসাধক। ইংরেজ সেই স্বাধীনতার সাক্ষাৎ বাধা বটে, এবং সর্ব্বাগ্রে সেই বাধা অপসারিত করিতেই তিনি তাঁহার সর্ব্বশক্তি নিয়োজিত করিয়াছিলেন, কিন্তু সেই যুদ্ধজয়কেই যদি আমরা তাঁহার প্রধান বা চূড়ান্ত কীর্ত্তি বলিয়া মনে করি তবে তাঁহার ব্রতকেও যেমন, তেমনই তাঁহার সেই অলৌকিক শক্তিকে আমরা গৌরবহীন করিব। নেতাজী যে মুক্তি চান সে যে কত বড় মুক্তি—সে পিপাসা যে কিসের পিপাসা, তাহা ঐ আজাদ-হিন্দ্-সেনাই বুঝিয়াছে, আমরা বুঝি নাই; যাহারা খাঁটি গান্ধী-পন্থী তাহারা ত’ বুঝিবেই না। তাই নেতাজীর সেই মুক্তি-সাধনের পন্থা লইয়া এত ধম্মাধর্ম্ম-বিচার, এত বিতর্ক আমরা করিয়া থাকি। যাহারা সেই স্বাধীনতা সেই মুক্তিকে অন্তরে প্রত্যক্ষ করে নাই, এবং করিয়া, এই মোহগ্রস্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ অতি-দুর্গত জাত কে তাহা দিবার জন্য, সেই অপার প্রেম, অপার করুণা অনুভব করে নাই—যে-প্রেম সর্ব্বস্ব-ত্যাগ করিয়াও তৃপ্তি পায় না,―তাহারাই অতি-ক্ষুদ্র ধর্ম্মবুদ্ধিকে আশ্রয় না করিয়া পারে না, কারণ তাহাদের আত্মার সেই মুক্তি ঘটে নাই—সে মুক্তি-পিপাসাও নাই। সে যে কত বড় প্রেম― তাহতে সকল দ্বিধা, সকল হিসাব-বুদ্ধি ভস্ম হইয়া যায় বলিয়াই হিংসাতেও যে হিংসাবোধ থাকে না, আজাদ-হিন্দ্-ফৌজের নরনারী তাহা জানিয়াছে। সেই প্রেমকে তাহারা নেতাজীর