পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
জয়তু নেতাজী

কথা। সেই মোহভঙ্গ যে কি, তাহা পূর্ব্বে সবিস্তারে বলিয়াছি। শেষ পর্য্যন্ত, ইংরেজের মহত্ত্ব ও শুভবুদ্ধিতে বিশ্বাস কাহারও ঘুচে নাই—তাহার বিরুদ্ধে যত অভিমান ও অভিযানই করিয়া থাকুক, অন্তরের অন্তরে সেই মোহ ছিল, এখনও আছে। আমাদের এই বাংলাদেশের দুই মহামনীষীর কথা পূর্ব্বে বলিয়াছি, তাহার মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের কথা ছাড়িয়া দিই, এমন কি রবীন্দ্রনাথেরও এ মোহ শেষ পর্য্যন্ত ছিল; কেবল মৃত্যুর কিছু পূর্ব্বে তাঁহার সেই মোহ ভাঙ্গিয়াছিল—মৃত্যুশয্যাশায়ী কবির সেই শেষ-বাণী সারা ভারতের আর্ত্তনাদের মত দিক-দেশ বদীর্ণ করিয়া ছিল। কিন্তু তাহারও পূর্ব্বে তিনি সুভাষচন্দ্রের মধ্যে, দেশনায়কের যে-মূর্ত্তি দেখিতে পাইয়া যে-বাণী উচ্চারণ করিয়া ছিলেন, তাহাতে সেই শেষবার তিনি তাঁহার ঋষিত্বই প্রমাণ করিয়াছেন।

 *  *  *

 গান্ধী-পন্থা যে সম্পূর্ণ বিপরীত, তাহা আহ কে না বুঝিয়াছে? কিন্তু সফলতা ও নিষ্ফলতার দ্বারাই যদি এই দুই পন্থা বিচার করিতে হয়, তবে তাহাও এতদিনে সুসাধ্য হইয়া উঠে নাই?নেতাজীর পন্থা কি নিষ্ফল হইয়াছে? গান্ধীজীর পন্থা কি সফল হইয়াছে? এই দুইটি পশ্নের উত্তর যাঁহারা ধীরভাবে চিন্তা করিবেন তাঁহারা বলিতে বাধ্য হইবেন যে, নেতাজীর নিষ্ফলতাও সারাভারতের যে কল্যাণ সাধন করিয়াছে, গান্ধীজীর অধুনা-বিঘোষিত তথাকথিত সফলতা সেই কল্যাণকে বিপন্ন করিতে চলিয়াছে। গান্ধীজীর নীতি মূলে