পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৮৯

দ্বৈত-নীতি, তাহাতে সর্ব্বত্র দুইপক্ষ আছে—ভেদকে স্বীকার করিয়াই রফা বা আপোসই তাহার গৌরব। এই প্রবন্ধে আমি, ইংবেজের যে নীতি ও তাহার যে গূঢ় ও দৃঢ় অভিপ্রায়ের কথা সবিস্তারে বলিয়াছি, তাহা স্মরণ করলেই বুঝিতে পার যাইবে যে, গান্ধীজী ও তাঁহাব সহচরগণের এই আত্ম-প্রসাদ একটি ঘোরতর আত্মপ্রবঞ্চনা মাত্র, ইংরেজের কূটনীতির নিকটে গান্ধী নীতি সম্পূর্ণ পরাস্ত হইয়াছে বলিয়াই ঐ আত্মপ্রবঞ্চনা এক্ষণে অশেষ মর্ম্মান্তিক হইয়া উঠিয়াছে। মন্ত্রী-মিশনের প্রস্তাবিত ব্যবস্থা মূলে গান্ধী-নীতিকে মানিয়া লইযাছে, অথচ তাহাতেই এমন কতগুলি গ্রন্থি বা প্যাঁচ লাগাইয়াছে যে, তাহাদের নিজেদের নীতিই জয়ী হইয়াছে। তথাপি গান্ধীজী তাহা মানিবেন না, মানিলে তাঁহাকে পূর্ণ-পরাজয় স্বীকার করিতে হয়, এক রূপ আত্মহত্যা করিতে হয়। যাহারা প্রতিবাদ করিয়াছে, যাহারা দ্রুত স্বাধীনতা চায় বলিয়া, তাঁহার ঐ আচরণে অতিশয় হতাশ হইয়াছে, তাহাদিগকে ভর্ৎসনা করিয়া তিনি ক্রমাগত যাহা বলিতেছেন তাহা যেমন বিস্ময়কর, তেমনই অর্থপূর্ণ—তাহাতে বুঝিতে পারা যায়, তাঁহার অন্তরের কামনা কি, এই পচিশ বৎসর তিনি ভারতের ভাগ্যকে কোন পথে চালনা করিয়াছেন। এমন অনেক উক্তি তিনি কিছুকাল যাবৎ করিতেছেন— তাঁহাকে ভুল বুঝিবার কোন কারণ নাই। তথাপি একটি উক্তি এখানে উদ্ধৃত করিলেই যথেষ্ট হইবে। ঐ মন্ত্রী মিশনের ব্যবস্থায যাহারা খুশী হয় নাই তাহাদিগের উদ্দেশে গান্ধীজী বলিতেছেন—