পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
জয়তু নেতাজী

না। বরং শেষে তাহারই আশ্রয়ে, তাহারই আবরণে, আপনাদের মহাপরাজয় ঢাকিবার চেষ্টা করিয়াছে; নিজেদের মুখরক্ষা, মানরক্ষার জন্য তাহারই কীর্ত্তি-গৌরবের ছায়ায় আসিয়া সমবেত হইয়াছে। আজ তাহাদের সকল বুদ্ধি সকল কৌশল যখন ব্যর্থ হইতে চলিয়াছে-দীনতা ও হীনতা, আত্মপ্রবঞ্চনা ও পর-প্রবঞ্চনা যতই বীভৎস হইয়া উঠিতেছে, ততই জনগণকে দণ্ড কৌপীনের মাহাত্ম্য বুঝাইতেছে; মানুষ যখন আসন্ন সর্ব্বনাশের ভয়ে চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে তখন তাহাদিগকে পরম-বৈরাগ্যের উপদেশ দিতেছে! কিন্তু আর কেহ তাহাতে ভুলিবে না, বণিকবৃত্তির দ্বারা সওদা-করা, নির্দ্দিষ্ট ওজনের মুক্তি তাহা চায় না—জানে, তাহা মুক্তি নয়, বন্ধনেরই একটা নূতন ফাঁদ। ইহাও জানে যে, দেশকে যে ভালবাসে দেশ তাহারই; সেই অধিকার সুভাষচন্দ্রের মত আর কাহারও নাই, অতএব দেশ সুভাষের। সেই দেশের সম্বন্ধে অপর পক্ষের সহিত কোনরূপ বোঝাপড়া করিবার অধিকার আর কাহারও নাই। সুভাষ মরে নাই, তাহার জীবনে কোটি জীবন জাগিয়াছে। ধৃতরাষ্ট্রের সভায় শকুনির সহিত পাশাখেলার যে ফলাফল তাহাই ভারতের ভাগ্য মীমাংসা নয়। তাই আজ যখন গান্ধীধর্ম্মী কংগ্রেস একটা মহামিথ্যাকে স্বাধীনতা-নাম দিয়া, সেই স্বাধীনতা সে লাভ করিয়াছে বলিয়া, ধমক ও চীৎকারের দ্বারা সকলকে নিরস্ত করিবার আশা করিতেছে, এবং যখন সেই স্বাধীনতার সম্ভাবনা মাত্রে চতুর্দ্দিকে শিবা ও সারমেয়গণের চীৎকার, কবন্ধের নৃত্য