পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১০৩

মুখে ‘গান্ধীজী’ ও ‘নেতাজী’ বলা চলিবে না। হয় ‘নেতাজী’ বল, নয় ‘গান্ধীজী’ বল,—তাহাতে ত’ কোন অপরাধ হয় না; কিন্তু নেতার সহিত ‘নেতাজী’কে এক করিও না; তাহাতে একূল-ওকূল দুই কূলই হারাইবে। মিথ্যার শতরূপ আছে—সত্যের রূপ একটাই; যাহারা সেই বহুকে সেই বিপরীতকেও এক করিয়া লইতে চায়, এবং তাহাকেই মনের প্রসার ও উদারতা নাম দিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করে, তাহাদের মত মিথ্যাচারী আর কেহ নয়,—তাহাদের আত্মা অলস, সত্যকে তাহারা সহজ করিয়া লইয়াছে, তাহারা ফাঁকি দিয়া বড় হইতে চায়।

 আমি বলিয়াছি, আজিকার দিনে আমরা এই যে ‘নেতাজী’র নামে এত উল্লাস প্রকাশ করি,—ইহা শুধুই মােহ নয়, স্পষ্ট দ্বৈতাচার। গান্ধীজীর কোন দোষ নাই—তিনি একদিন স্পষ্ট ভাষায় এবং অতিশয় কঠিন ও নির্ম্মম উপায়ে সুভাষচন্দ্রকে বহিষ্কার করিয়া দিয়াছিলেন; সুভাষ এখনও গান্ধী-ধর্ম্মে সমান পতিত হইয়া আছেন। সেদিন সুভাষচন্দ্র যাহা নিবারণের জন্য আকুল হইয়া নিম্নের দেহটাকে পর্য্যন্ত গান্ধীজীর রােষহুতাশনে সমর্পণ করিতেকুণ্ঠিত হন নাই,[১] আজ তাহাই অপ্রতিহত প্রতাপে সমাধা হইতে চলিয়াছে। ত্রিপুরী ও রাজকোটে, দল ও দলপতি মিলিয়া, সেদিন যাহা রক্ষা করিবার জন্য সকল ধর্ম্ম বিসর্জ্জন


  1. “He knew that to challenge the Mahatma's authority was playing with fire, and yet knowing this he did not hesitate to throw out a challenge, because he thought he was right.” [Testament of Subhash Bose Preface]