পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
জয়তু নেতাজী

দিয়াছিল, আজ দিল্লীতে সগৌরবে তাহারই প্রতিষ্ঠা হইতেছে। তাহা হইলে ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামে নেতাজী কোথায়? ভারতের একরাষ্ট্র, জাতীয় আত্মমর্য্যাদা ও স্বাধীনতার যে অতিশয় মিথ্যা ও বিকৃত তত্ত্ব এবং ততোধিক মিথ্যা ও প্রবঞ্চনাকে যাহারা আশ্রয় করিয়াছে, তাহাদের এই অপ্রতিহত প্রভাবের মধ্যে সুভাষচন্দ্রের ‘নেতাজী’-নামের সার্থকতা কি? কথাটা বুঝিতে হইলে সেই ত্রিপুরীর ইতিহাস আবার ভাল করিয়া স্মরণ ও মনন করা প্রয়োজন, কারণ সেই ত্রিপুরী এখন সমগ্র ভারতে তাহার ক্ষেত্র বিস্তার করিয়াছে; যতদিন না ভারত স্বাধীন হয় ততদিন ঐ ত্রিপুরী-যুদ্ধের বিরাম নাই। যুদ্ধের রূপ ও তাহার পূর্ব্বাপর কারণ পরম্পরা এই প্রসঙ্গে একটু সবিস্তারে বিবৃত করা একান্ত কর্ত্তব্য।

পূর্ব্ব-কথা

 ১৯১৯ সালে গান্ধীজীর উদয় হয়—এক দণ্ড-কৌপীনধারী সন্ন্যাসী ভারতের মুক্তিসংগ্রামকে অভিনব পথে প্রবর্ত্তিত করিয়া ভারতের আত্মাকেই যেন আশ্বস্ত করিলেন; পথভ্রষ্ট, আত্মভ্রষ্ট ভারতবাসী এক নূতন যুদ্ধাস্ত্র লাভ করিল, দেশের কারাবরণ, মৃত্যুবরণ-ত্যাগ ও বীর্য্যের চূড়ান্ত উৎসাহ, সংগ্রামে সর্ব্বশক্তি নিয়োগের আকুল আকাঙ্ক্ষা, কিছুই বাধা পাইল না; কেবল সেই সংগ্রামের নীতি অতিশয় উচ্চ আধ্যাত্মিক নীতির আকার ধারণ করিল। ১৯২০২১ সালে গান্ধীজীর সেই নীতি