পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
জয়তু নেতাজী

পরবর্ত্তী কীর্ত্তিকলাপে ক্রমিক দুর্ব্বলতা, নিরুপায়ের উপায়উদ্ভাবন, দ্বৈধ ও সংশয় এবং নৈষ্কর্ম্য বা সংগ্রাম-বিমুখতা লক্ষ্য করিয়াও গান্ধীজীর সততা বা সত্যনিষ্ঠায় আস্থাহীন হন নাই; এমন কি, ত্রিপুরীতে গান্ধী-সৈন্যের ধর্ম্ম ও কর্ম্মের সেই স্বরূপ প্রকাশিত হইবার পরেও তিনি গান্ধীজীর প্রতি তাঁহার সেই বিশ্বাস ত্যাগ করিতে পারেন নাই; যাহারা নিজে মহৎ তাহারা মহতের অধঃপতনকেও সাময়িক ভ্রান্তি বা পদস্খলন বলিয়াই মনে করে।

 ১০।১২ বৎসরের মধ্যেই গান্ধী-নাতির আমূল পরিবর্ত্তন হইল। খেলাফতের দারুণ নির্ব্বুদ্ধিতা ও তাহার অন্তর্নিহিত অসত্যই সর্ব্বপ্রথম তাঁহার শক্তি ও নীতির শুচিতা নষ্ট করিয়াছিল। ক্রমে খাদি ও চরকাই হইল একমাত্র সংগ্রাম-কর্ম্ম এবং অহিংসা বা প্রেমের আধ্যাত্মিক তপস্যাই হইল অক্ষমতা ও আত্মসংকোচের একটি প্রকৃষ্ট আবরণ। যুদ্ধ ত্যাগ করিয়া গান্ধীজী নেতার পরিবর্ত্তে ধর্ম্মগুরুরূপে দেখা দিলেন; কিন্তু তখনও সেই স্বাধীনতা-সংগ্রামের সৈন্য-সজ্জা তেমনই রহিল; পূর্ব্বে সংগ্রাম ছিল, সৈন্যও ছিল, কেবল সংগ্রামের নীতিটাই ছিল ভিন্ন—তাহা ছিল একরূপ ধর্ম্মযুদ্ধ; এখন যুদ্ধ রহিল না, তাহার সেই ধর্ম্মটাই আরও বড়, আরও গভীর হইয়া উঠিল। যে জাগরণ হইয়াছিল সংগ্রামের জন্য—তখন সেই জাগরণকে একটা অতিশয় আধ্যাত্মিক ধর্ম্মসাধনায় নিয়োজিত করিয়া জনগণকে নিশ্চিন্ত করা হইল। স্বাধীনতার কোন চিন্তা বা ভাবনা তাহারা করিবে না, তাহারা