পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

৷৶৹

তাহার সেই মত বা দৃষ্টিভঙ্গি যেমনই হোক, তাহার বিরুদ্ধে যেমন যুক্তিই থাকুক,―তিনি ব্রিটিশ জাতির চরিত্র, তাহাদের কঠিন সংঙ্কল্প ও গভীর কূটনীতি সম্বন্ধে যে কিছুমাত্র ভুল করেন নাই, এবং কংগ্রেসের মতি-গতি ও আচার-অনুষ্ঠান, তাহার নীতি ও ধর্ম্ম তিনি যে উত্তমরূপে বুঝিয়াছিলেন এবং সে সকলের ব্যর্থতাও নিশ্চিতরূপে উপলব্ধি করিয়াছিলেন―আজিকার অবস্থা-দৃষ্টে তাহা সকলেই স্বীকার করিবে; আমি সুভাষচন্দ্রের সেই সকল সমালোচনা ও ভবিষ্যৎ-বাণী মিলাইয়া দেখিতে বলি। কংগ্রেসের সেই সংগ্রাম-ভীরু আপোষ নীতি এতদিন তাহার কর্ম্মনাশ করিতে ছিল, এক্ষণে ধর্ম্মনাশ করিতেছে। আজ দেশে যে গুরুতর সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছে তাহা পূর্ব্বে কেহ ভাবিতেও পারে নাই, তাহার কারণ, কংগ্রেসের সেই ধর্ম্মনীতিকেই উৎকৃষ্ট রাজনীতি ও দূরদর্শিতার প্রমাণ বলিয়া সকলে বিশ্বাস করিয়াছিল। কিন্তু আজিকার এই ভূমিকম্পে চক্ষুষ্মান্ ব্যক্তিমাত্রেরই দৃষ্টিভ্রম ঘুচিবে। ইহা যে কংগ্রেসের সেই ভ্রান্ত নীতির অবশ্যম্ভাবী ফল, এবং ভারতের স্বাধীন-সংগ্রাম যে অতঃপর নূতন করিয়া আরম্ভ করিতে হইবে, সে সম্বন্ধে কাহারও সন্দেহ থাকিতে পারে না। কিন্তু কংগ্রেস এমনই মোহগ্রস্ত হইয়াছে, এমনই সত্য-মিথ্যা-জ্ঞান হারাইয়াছে যে, এখনও সে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করিতেছে যে, এ সকলই আসন্ন স্বাধীনতা-লাভের লক্ষণ। কিন্তু জনগণ কি দেখিতেছে? চতুর্দ্দিকের ঘটনা-প্রমাণে যে অবিসংবাদিত সত্যকে তাহারা সহজবুদ্ধিতে প্রত্যক্ষ করিতেছে, কেবল বাক্যের কূট-কৌশলে তাহাকে অস্বীকার করে কেমন করিয়া? আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, ঠিক ইহাই যে ঘটিবে, এবং গান্ধী-কংগ্রেসও যে ধ্বংস প্রাপ্ত হইবে তাহা সুভাষচন্দ্র অতিপূর্ব্বেই দৃঢ়কণ্ঠে ও নিঃসংশয়ে প্রচার করিয়াছিলেন; তখন যাহা কেহ বিশ্বাস করে নাই,