পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
জয়তু নেতাজী

জন্য যোগাসনে বসিলেন। মহাপুরুষগণের লীলা বড়ই রহস্যময়, তাহার মর্ম্ম যেমন সরল, তেমনই গভীর। এই যে ত্রিপুরীতে চন্দ্রগ্রহণ হইবার ঠিক প্রাক্‌কালে তিনি প্রায়োপবেশনে বসিলেন, ইহা কি তিনি নিজেই স্থির করিয়াছিলেন? তিনি নিজে কিছুই করেন না, ভিতর হইতে আদেশ আসে; সে যে কখন কিভাবে আসে তাহা মনুষ্য-বুদ্ধির অগোচর বলিয়াই ভক্তগণ যেমন বিস্মিত হয়, তেমনই ভক্তির ভাবে অবসন্ন হইয়া পড়ে। দেশটা যে হিন্দুর দেশ! একটি অতিক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্যের প্রজাগণের জন্য এই যে জীবন পর্য্যন্ত ত্যাগ করা, ইহার মহিমা তাহারা শীঘ্রই বুঝিতে পারিল। গান্ধীজী কংগ্রেসের কর্ত্তৃত্ব অনেক পূর্ব্বেই ত্যাগ করিয়াছেন, তাহা ত’ সকলেই জানে; কংগ্রেসের জন্য তিনি কিছুমাত্র চিন্তিত নহেন—সে সময়ে রাজকোটকে না বাঁচাইলে ভারতবর্ষই যে বাঁচে না!

 এ দিকে তাঁহার সেই কংগ্রেসী অনুচর—বীরভক্তগণ ত্রিপুরীতে আসিয়া যুদ্ধের পূর্ব্বরাত্রে শপথ-বাক্যে প্রচার করিতে লাগিল যে, পরদিন সভার মধ্যে তাহারা যাহা করিবে তাহাতে গান্ধীজীর সম্পূর্ণ অনুমোন আছে,—এমন কি, তাহারা টেলিফোন-যোগে তাহাঁকে সর্ব্বদা ওয়াকিবহাল রাখিয়াছে। এইরূপ বাক্যের দ্বারা তাহারা সারারাত্রি তাঁবুতে তাঁবুতে ঘুরিয়া সুভাষচন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিনিধিগণের ধর্ম্মবুদ্ধি জাগ্রত করিতে লাগিল; সুভাষচন্দ্রের সেই কঠিন রোগও যে একটা ভান মাত্র—সুভাষচন্দ্রকে এইরূপ কপটাচারী বলিয়া তাঁহার প্রতি