পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১১৫

সকলের শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি নাশ করিবার এমন হীন চেষ্টাতেও তাহারা বিরত হয় নাই।

 ত্রিপুরীর অধিবেশনে যাহা হইয়াছিল তাহা এখনও অনেকের স্মরণ আছে, সেই দলবদ্ধ ক্রূরতা, হিংসা ও মিথ্যাচরণের বিস্তৃত বিবরণে উপস্থিত আমার প্রয়োজন নাই। আমি কেবল দুইটি বিষয়ের উল্লেখ করিব। সেই কুখ্যাত পন্থ-প্রস্তাবটির সম্বন্ধে গান্ধীজী যে কিছুই জানিতেন না—ঘটনার অনেক পরে তিনি তাহার অনুলিপি দেখিয়াছিলেন, একথা তিনি অসঙ্কোচে বলিয়াছিলেন। অর্থাৎ ত্রিপুরীতে সুভাষ-বধের জন্য তাঁহার প্রাণ-প্রিয় অনুচরগণ যাহা করিয়াছিল, তাহার বিন্দুবিসর্গ তাহারা তাঁহাকে জানিতে দেয় নাই, পাছে জানাইতে পারে সেই ভয়ে তিনি রাজকোটে গিয়া তপস্যায় মগ্ন হইয়াছিলেন। এত বড় একটা সঙ্কটকালে তাহারা গুরুর নিকটে পূর্ব্বে কোন উপদেশ বা মন্ত্রণা গ্রহণ করে নাই! অথচ, “সুভাষের জয়লাভে আমারই পরাজয়” এই উক্তির কারণ এবং পরে ঐ কার্য্য, এই দুইয়ের মধ্যে কোথায় কিরূপ যোগ আছে তাহা ভক্তিমানেরা বুঝিতে চাহিবে না, কিন্তু বুদ্ধিমানেরা না বুঝিয়া ছাড়িবে না। আর একটি কথা এই যে, ঐ ঘটনার পরে সুভাষচন্দ্র যখন গান্ধীজীর সহিত পত্রবিনিময়কালে, তাঁহার ঐ না-জানার কথায় বিস্মিত হইয়া তাঁহার অনুচরগণের সেই আচরণ সম্বন্ধে অভিযোগ করিয়াছিলেন, তখনও গান্ধীজী তাহাতে নীরব বা বধির হইয়াছিলেন। এত বড় একটা