পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৬
জয়তু নেতাজী

অভিযোগের তদন্তও তিনি করিলেন না, সেই অসত্যবাদী অসাধু অনুচর লইয়াই তিনি ধর্ম্মযুদ্ধ চালাইতে লাগিলেন। সত্য ও অহিংসার এত বড় ঋষি যিনি, তিনি এখনও ইহাদিগকেই বাহন করিয়া, বুকে জড়াইয়া, আশীর্ব্বাদ করিয়া, তাঁহার ধর্ম্মব্রত উদ্‌যাপন করিয়াছেন! ত্রিপুরীর পরেও, স্নেহ, দয়া ও উপদেশ-প্রার্থী, রোগশয্যাশায়ী সুভাষের প্রতি তাঁহার ব্যবহার, এবং তাহাকে সম্পূর্ণ একক ও সহায়হীন করিবার জন্য তাঁহার সেই কঠিন ও কঠোর সংঙ্কল্প হইতেই বুঝিতে পারা যায়, তিনি ত্রিপুরীর ব্যাপারে কিরূপ নির্লিপ্ত ছিলেন। তবুও গান্ধীজী মহাত্মা, এবং—“These are thy gods, O Israel!”

 উপরে ত্রিপুরীর প্রসঙ্গে যাহা বলিয়াছি তাহাতে সুভাষচন্দ্রের পক্ষে ওকালতি করা বা তাঁহার পরাজয়ের দুঃখ প্রকাশ করা আমার অভিপ্রায় নয়; সুভাষচন্দ্র যাহা করিয়াছিলেন তাহার ফলাফল বহন করিতেও তিনি প্রস্তুত ছিলেন।[১] পাঠক-


  1. যদিও এই প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্রের বন্ধু শ্রীযুক্ত দিলীপকুমার রায় যাহা বলিয়াছেন তাহাও উল্লেখযোগ্য—
     “But this was not his only tragedy. His life was becoming a frustration at every turn—so much so, that even his brave lion-heart of a born optimist was on the verge of heart-break, as for example, when he instead of roaring actually bleated in his piteous appeal at Tripuri, to Mahatmaji” (The Subhas I knew P, 45)
     ঠিক এই কারণে বর্ত্তমান লেখক (সুভাষচন্দ্রকে তখনও চিনিতাম না) তাঁহার এক সাময়িক প্রবন্ধে সুভাষচন্দ্রের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করিয়াছিলেন।