পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২২
জয়তু নেতাজী

করিতে পারিলেন না, মৃত্যুর দ্বারা সেই আদর্শে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য তিনি ঐরূপ সংকল্প করিলেন। তিনি, লিখিয়াছিলেন—

 “Liſe under existing conditions is intolerable for me.···In this mortal world everything perishes and will perish—but ideas, ideals and dreams do not. One individual may die for an idea, but that idea will, after his death, incarnate itself in a thousand lives”.

 [বর্ত্তমান অবস্থায় জীবন-ধারণ আমার পক্ষে অসহ হইয়া উঠিয়াছে।···এ জগতে সকলই বিনাশশীল; কেবল উৎকৃষ্ট ভাব, উচ্চ আদর্শ ও মহতী কামনা—এ সকলের বিনাশ নাই। এইরূপ একটি তত্ত্ব-বিশ্বাসের বশে যদি একজন ব্যক্তিও জীবন বিসর্জ্জন করে, তবে তাহার মৃত্যুতে সহস্র জীবন সেই এক বিশ্বাসে উজ্জীবিত হইয়া উঠিবে]।

 উপরের ঐ কথাগুলি আজ আর কাহাকেও বিশ্বাস করাইতে হইবে না। কিন্তু, “বর্ত্তমান অবস্থায় জীবন-ধারণ আমার পক্ষে অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে”—এই “বর্ত্তমান অবস্থা” যে কিরূপ তাহাও আমরা অনুমান করিতে পারি। একদিকে গভর্ণমেণ্ট, অপর দিকে ততোধিক প্রতিহিংসাপরায়ণ পরমাত্মীয়গণ। ইহার পর, সুভাষচন্দ্র যখন তাঁহার সেই সংঙ্কল্প কার্য্যে পরিণত করিলেন, তখন সেই সংবাদে গান্ধী-কংগ্রেসের কিরূপ ভাবোদয় হইয়াছিল? কল্পনা করা কি দুরূহ? সেই পরমাত্মীয়গণ কি দিনের পর দিন টেলিগ্রামের আশায় উদগ্রীব হইয়াছিল না, কখন সেই মহাশত্রুনিপাতের—চির-নির্ভয়ের—বার্ত্তা সত্য হইয়া উঠে। সুভাষচন্দ্র কম দুঃখে, কম ধিক্কারে প্রাণত্যাগের