পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬
জয়তু নেতাজী

নামে শঙ্কিত এবং কঠিন হইয়া উঠিয়াছে। দিল্লীর মসনদে চড়িয়া যে মহাবীর আবুহোসেনের অভিনয় করিতেছেন, তিনি আর স্থির থাকিতে পারিলেন না—সুভাষচন্দ্র যে মরিয়া ভূত হইয়া গিয়াছেন, এই অতিশয় সত্য ও শুভ বাণী তিনি কম্বুকণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছেন। ইহার কি প্রয়োজন ছিল? সুভাষচন্দ্র না বাঁচিয়াও বাঁচিয়া আছেন—সে বাঁচিয়া-থাকা কি তুমি রোধ করিতে পারিবে? তুমি কি ইহাই বুঝিয়া ভয় পাইয়াছ যে, যতদিন ভারতবাসী জনগণ সুভাষের আশায় পথ চাহিয়া থাকিবে, ততদিন তোমাদেরই বিপদ? কিন্তু তাহারা ঐ মিথ্যা আশা ত্যাগ করে না কেন, তাহা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ? তোমার ঐ কংগ্রেসকে মুখে, এমন কি মনেও যতই তাহারা বিশাস করুক, অন্তরে তাহার উপরে কোন ভরসাই নাই। তোমার কংগ্রেস তাহা বুঝিবে না। জনগণকে ধমক দিয়া, অথবা ধর্ম্মোপদেশের ভাঁওতা দিয়া, এতদিন তাহাদের ইহকাল পরকাল সে নষ্ট করিয়াছে; সে কখনও তাহাদের হৃদয়কে, প্রাণকে গ্রাহ্য করে নাই, বরং তাহাদের সেই হৃদয়কে-মনুষ্যসুলভ আশা-বিশ্বাস ব্যথা-বেদনাকে—দমন বা উচ্ছেদ করিয়া সে তাহার নেতৃত্বের ধর্ম্ম-ধ্বজা উড়াইয়াছে। সে তাহাকে কি দিয়াছে? দুঃখ দূর করা পরের কথা, সে তাহাকে অসীম দুঃখ ভোগ করাইয়াছে, অসংখ্য কঙ্কালরাশির উপরে তাহার গণপতিত্বের আসন উচ্চ হইতে উচ্চে প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। মুখের বুলি দিয়া তুমি ত’ তাহার বুকের সেই হাহাকার রুদ্ধ