পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১২৭

করিতে পারিবে না। তাহারা ঐ মিথ্যা আশা ত্যাগ করিতে পারে না কেন? এক্ষণে ভাবতবাসীর মনের অবস্থা—বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বিষবৃক্ষে’র সেই কুন্দনন্দিনীর মত যে—পিতা ছাড়া তাহার আর কেহ নাই,সেই পিতার মৃত্যু-শিয়রে সে বসিয়া আছে; গভীর রাত্রে ও জনহীন কক্ষে পিতার প্রাণবায়ু বহির্গত হইয়া গেল; তখনও সেই ক্ষীণ দীপালােকে সে তাঁহার মুখের পানে চাহিয়া আছে—পিতার মৃত্যু হইয়াছে এ বিশ্বাস সে কিছুতে করিবে না, কারণ তাহার যে আর কেহ নাই। এমন সর্ব্বনাশ কি হইতে পারে। তাই কুন্দনন্দিনী তাহার মৃত পিতাকেও, যতক্ষণ পারে জীবিত মনে করিয়া সেই মহাভয় দূর করিতে চায়। সুভাষচন্দ্র জীবিত কি মৃত—সে বিশ্বাস ভারতবাসীর পক্ষেও তেমনই; তাহার যে আর কেহ নাই! তুমি হুঙ্কার করিলে কি হইবে?

 শুধু তাহাই নয়, আজাদ-হিন্দ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান-উৎসব প্রভৃতি কংগ্রেসের চক্ষুঃশূল হইয়াছে, পাছে মিত্র-পক্ষ অসন্তুষ্ট হন, তাই যাহারা বিদ্রোহী সুভাষের পক্ষ তাহাদের কার্য্যকলাপ বে-আইনী হইয়া থাকিবে। ত্রিপুরীর পরে সুভাষচন্দ্রের সকল কার্য্যে উহারা এইরূপ হুকুম জারী করিত। তবু এখনও মুখােস সম্পূর্ণ ত্যাগ করে নাই, এখনও ‘জয় হিন্দ্’ বলিতে বাধ্য হয়, এখনও ‘নেতাজী’কে প্রকাশ্যে অস্বীকার করিতে সাহস পায় না।

কংগ্রেসের নীতি ও নেতৃত্ব

 নেতাজীর নেতৃত্ব কংগ্রেস কখনও মানে নাই, মানিবে না,