পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
জয়তু নেতাজী

যে সকল নির্দ্দেশ দেওয়া হইতেছে তাহা শুনিলে প্রকৃতিস্থ মানুষও অপ্রকৃতিস্থ হইয়া পড়ে। কিন্তু যেহেতু গান্ধীজী এ-জাতির নাড়ী বহু পূর্ব্বেই ঠাণ্ডা করিয়া ফেলিয়াছেন, তাই কেহ আর চমকিত বা স্তম্ভিত হয় না। ইহার পরে স্বাধীনতার কথাও কেহ মনে আনিবে না,—বড় বড় পণ্ডিতেরা ইতিমধ্যেই গান্ধী-প্রণীত অপূর্ব্ব ‘পরিকল্পনা’র ভাষ্য-রচনায় লাগিয়া গিয়াছেন; কারণ, তাহার প্রকৃত অর্থবোধের উপরেই নাকি ভারতের চরম সৌভাগ্য নির্ভর করিতেছে; স্বাধীনতা-লাভ না হইলেও, উহার দ্বারাই চতুর্ব্বর্গ-লাভ হইবে। দেশের অবস্থা এখনই এমন হইয়া উঠিল কেন?—ঔ পরিকল্পনায় ইহার প্রতিষেধ-চিন্তা আছে কি? বাংলাদেশের যে অবস্থা হইয়াছে, সারা ভারতের আসন্ন অবস্থা তাহা হইতেই অনুমেয় “ঘুঁটে পোড়ে, গোবর হাসে”, কিন্তু গান্ধীজীর মোহিনীশক্তি এমনই যে, ঘুঁটেও হাসিতেছে।

 কিন্তু যাহা বলিতেছিলাম। গান্ধী-কংগ্রেসের নীতি ও নেতৃত্ব সেই রামগড়-কংগ্রেসেই—তাহার সেই সুভাষ-বিজয় অধিবেশনে—পরম গৌরবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইল, দুইট প্রস্তাবেই তাহার জৌলুসের অবধি রহিল না। প্রথম প্রস্তাবটি এইরূপ—

 The Working Committee will continue to explore all means of arriving at an honourable settlement, even though the British Government has banged the door in the face of the Congress.