পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
জয়তু নেতাজী

সম্পূর্ণ সংগৃহীত হয় নাই। তথাপি একটি ঘটনায় তাঁহার নেতৃত্বপ্রতিভার যে পরিচয় নিঃসংশয় হইয়া উঠিয়াছে, এখানে কেবল তাহারই উল্লেখ করিব। গান্ধী-কংগ্রেসের নীতিকে তিনি যে শ্রদ্ধা করিতে পারেন নাই তাহার কারণ, ঐ নীতি যে অতিশয় ভ্রান্ত সে সম্বন্ধে ক্রমেই তিনি নিঃসংশয় হইয়াছিলেন। গান্ধীজী প্রথম হইতেই ভারতের হিন্দু-মুসলমান-সমস্যাকে সেই গুরুত্ব দিয়াছিলেন যাহা ব্রিটিশ-সরকারের পক্ষেই অতিশয় সুবিধাজনক; গান্ধী-কংগ্রেস সেই সমস্যাকে ভয় করিয়াই তাহাব শক্তি ও দুর্লঙ্ঘ্যতা এমনই বৃদ্ধি করিল যে, অবশেষে তাহাই টর্পেডো-রূপ ধারণ করিয়া কংগ্রেসের সুবৃহৎ রণতরীকে জলমগ্ন করিয়াছে। সুভাষচন্দ্র তাহার ঐ নীতিতে যেমন বিরক্ত তেমনই অধীর হইয়া উঠিয়াছিলেন। কংগ্রেস সেই সমস্যার সমাধান করিবে আপোস করিয়া,—অথচ একটি দুর্দ্ধর্ষ তৃতীয় পক্ষ তাহাই হইতে দিবে না। আপোস না করিয়াই বা কি করবে? তাহার যে সেই প্রাণশক্তি নাই, সেই প্রেম—প্রমের সেই দূর্ব্বার একীকরণ-শক্তি নাই, যাহার বলে এই বিরাট ও বহু-বিভক্ত জাতিকে এক মহাজাতিতে পরিণত করা যায়। নাই বলিয়াই সে সর্ব্বদা ভয়ে অস্থির; সে ইংরেজকে ভয় করে, মুসলিম-লীগকে ভয় করে, সুভাষকে ও হিন্দু-মহাসভাকে ভয় করে; সে জনগণকেও অবিশ্বাস করে। তবু নেতৃত্ব চাই, কাজেই আপোস ভিন্ন উপায় কি? আজ সেই অপোস-নীতির পরিণাম প্রকট হইয়া উঠিয়াছে—এখন তাহার অবস্থা হইয়াছে—