পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১৩৭

‘সাপের ছুঁচো-গেলা’র মত। পাকিস্থান সে কার্য্যতঃ পুরাপুরি মানিয়া লইয়াছে, এবং হিন্দুস্থানেও সে কর্ত্তাদের বাহন হইয়া লাগাম ও চাবুকের আঘাত যতদূর সম্ভব গা-সহা করিয়া লইবার চেষ্টা করিতেছে;[১] যদি তাহাও না পারে, তবে এবার সে একূল-ওকূল দুই কূলই হারাইবে। সেই খেলাফৎ-আন্দোলনের সময়েই গান্ধীজী যে দ্বিধা ও দুর্ব্বলতা, এমন কি রাজনৈতিক বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দিয়াছিনে তাহাতে সেকালের প্রবীণ রাজনীতি-বিদ্, পূর্ব্বতন নেতাগণ, ভবিষ্যৎ ভাবিয়া নিরতিশয় শঙ্কিত হইযাছিলেন, কিন্তু অসহযোগ ও সত্যাগ্রহের নূতন মন্ত্র এবং তাহার ফলে সেই অভূতপূর্ব্ব জন-জাগরণ তাঁহাদিগকে স্তব্ধ করিয়া দিল—সমস্যা-সমাধান বা আশু পরিত্রাণের কোন উপায় ত’ তাঁহারাও নির্দ্দেশ করিতে পারেন নাই, জনগণকে চালনা কবার শক্তিও অর্জ্জন করেন নাই। অতএব সেই নীতির উপরেই নির্ভর করিয়া গান্ধীজী অপ্রতিহত প্রভাবে নেতৃত্ব করিতে লাগিলেন, অর্থাৎ ভারতের ভাগ্যতরণীকে সুনিশ্চিত বিনাশের দিকে চালনা করিতে লাগিলেন। ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামে মুসলিম-লীগ যে একটা ভয়ানক বাধা, উহাদের সাহায্য না পাইলে ভারতের ত্রিশ কোটি হিন্দু যে নিতান্তই অসহায়; হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ঐক্যস্থাপন আগে,


  1. বিভক্ত খণ্ড ছিন্ন ভারত ইংলণ্ডের রাজাকে জানু পাতিয়া আনুগত্য নিবেদন করিয়াছে। সে সর্ব্বতোভাবে ব্রিটিশ প্রভুদের মন রক্ষা করিয়া তাহাদেরই উপদেশ শিরোধার্য্য করিয়া, তাহাদেরই প্রতিষ্ঠিত শাসন-যন্ত্র পরিচালনা করিতেছে, এবং সেই বণিকতন্ত্র ও সেই সাম্রাজ্যবাদকে ভিতরে ভিতরে বরণ করিয়া লইয়াছে।