পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৮
জয়তু নেতাজী

কর্ম্মে ক্লান্তিহীনতা, বাস্তব-বুদ্ধি ও কল্পনা-শক্তি, এবং সর্ব্বোপরি অজেয় আত্মবিশ্বাস ও অকুতােভয়তা―এ সকল গুণের উল্লেখ নিষ্প্রয়ােজন। সমগ্র গুণাবলী একত্র করিয়া সুভাষচন্দ্রের দিকে চাহিলে মনে হয় না কি যে, মানব-চরিত্রের উহা একটি অভিনব পূর্ণ-প্রকাশ বটে? সকল কীর্ত্তিকে, সকল জয়-পরাজয়কে, মানব-ভাগ্যের সকল ঘটন-অঘটনকে অতিক্রম করিয়া, উহা যেন স্ব-মহিমায় বিরাজ করিতেছে! কুরুক্ষেত্রের পার্থ ও পার্থসারথি, বুদ্ধ ও চৈতন্য সকলেই যেন উহার মধ্যে লুকাচুরী খেলিতেছে―পূর্ণতঃ কোন একজন নয়, সকলেরই কিছু-কিছু যেন একটি সূত্রে ‘মণিগণা ইব’ পাশাপাশি মিশিয়া দীপ্তি পাইতেছে! কিন্তু সেই সূত্র কি? এই সকল গুণ কোন এক গুণকে আশ্রয় করিয়া আছে? সে তাঁহার সেই অতুলনীয়, অপরিমেয় দেশ-প্রেম।

 কারণ, আমি সুভাষচন্দ্রের সেই এক রূপ, সেই এক মূর্ত্তি অহৰহ আমার মানস-চক্ষে দেখিতেছি। আজাদ-হিন্দ্-ফৌজের সর্ব্বাধিনায়ক, যােদ্ধৃবেশপরিহিত নেতাজী সুভাষচন্দ্র সিঙ্গাপুরের বিশাল প্রাঙ্গণে সুসজ্জিত সেনাবাহিনী ও সমবেত জনসমুদ্রের সম্মুখে মঞ্চোপরি দণ্ডায়মান। সে রূপ দেব-সেনানী তারকারি স্কন্দের রূপই বটে! হ্যানিবল, সীজার, আলেকজাণ্ডার নেপােলিয়নকে কি ঐরূপ উপলক্ষ্যে ঐ বেশে এমনই দেখাইত! নেতাজী তাঁহার মাতৃভূমিকে উদ্ধার করার জন্য সর্ব্বস্বপণের সেই শপথ-পত্র পাঠ করিতেছেন; সেনাগণ তাহাদের অভ্যস্ত সামরিক আচার রক্ষা করিবার জন্য আবেগ রুদ্ধ করিয়া স্থির