পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬০
জয়তু নেতাজী

নর-নারী এই রূপ দেখিয়াছে, দেখিয়া―‘মুক্ত’ হইয়া গিয়াছে। নহিলে, তাহারা অসম্ভবকে সম্ভব করিতে পারিত না, নিশ্চিত পরাজয়কে জয়ে পরিণত করিবার এমন বিশ্বাস হৃদয়মধ্যে লাভ করিত না; এবং অতিশয় দুরধিগম্য স্থানে প্রবেশ করিয়া, যুবা ও বালক-নির্ব্বিশেষে, তাহাদের পীড়িত উপবাসক্লিষ্ট দেশের শেষ রক্তবিন্দু ও শেষ নিঃশ্বাস, কেবল ‘নেতাজী’-নাম উচ্চারণ করিয়া, এমন হাসিমুখে উৎসর্গ করিতে―এবং তাহাতেই চরম ও পরম শান্তিলাভ করিতে পারিত না। যে-পুরুষকে তাহারা ‘নেতাজী-নাম দিয়াছিল, সে-পুরুষ সকল নামের অতীত; সে-প্রেমকে কেবল হৃদয়ে অনুভব করা যায়, মুখে উচ্চারণ করা যায় না। তথাপি ঐ নামই তাহার নির্দ্দেশক হইয়াছে, ঐ নামের গুণেই শুষ্কতরু মুঞ্জরিত হইতেছে―ঐ নামই এক মহাশক্তি-মন্ত্রের সমান হইয়া উঠিয়াছে। তৎসত্ত্বেও একথা যেন আমরা বিস্মৃত না হই যে, ঐ নাম ভারতের মুক্তিদাতা এক মহাশক্তি-সাধকের নাম, প্রেমের এক অপূর্ব্ব শক্তি ঐ পুরুষের রূপে মুর্ত্তি-ধারণ করিয়াছিল। সেই শক্তি অমর, তাহার মৃত্যু নাই―তাই পরাজয়ও নাই,[১] তাই কোনকালে কোন অবস্থায় ‘জয়তু নেতাজী’ বলিতে কোন ভারত-সন্তানের কিছুমাত্র বাধিবে না।

জয় হিন্দ্

  1. ভারতের মুক্তি এখনও ঘটে নাই―সেই মুক্তিদান না করিয়া সুভাষচন্দ্রেরও মুক্তি নাই। তাই সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু অসম্ভব।