দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা
‘জয়তু নেতাজী’র দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইল। এই পুস্তক যে সময়ে প্রকাশিত হইয়াছিল, তখনও ভারতের ‘স্বাধীনতা’-লাভ হয় নাই, স্বাধীনতার সিংহদ্বারে তখন সে ঘা দিতে শুরু করিয়াছে। সেই সময়ের কিঞ্চিৎ পূর্ব্বে নেতাজীর আজাদ-হিন্দ্-ফৌজের কীর্ত্তিকাহিনী ও ব্রিটিশ প্রভুদের হস্তে তাহার কয়েকজন যোদ্ধার বিচারনির্যাতন সারা ভারতে বিপুল উত্তেজনা সৃষ্টি করিয়াছিল। তখন ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সেই প্রাণান্তক জয়লাভে অবসন্ন; তার উপর, আজাদ-হিন্দ-ফৌজের সেই গগনস্পর্শী বীরত্ব-মহিমায় হতচকিত হইয়া তাহারা তাহাদের জাতিসুলভ অসামান্য কূটবুদ্ধি সহকারে ভারত-সাম্রাজ্যের কাঠামো এবং তাহার মূল স্বার্থ নির্ব্বিঘ্ন রাখিয়া, উপরকার দায়িত্বটাই ভারতবাসীকে ছাড়িয়া দিতে চাহিল। নিতান্ত নিরুপায় হইয়াই তাহারা ঐ নীতি অবলম্বন করিল, কারণ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ফলে তাহারা চোখে যেমন অন্ধকার দেখিতেছিল, তেমনই আজাদ-হিন্দ্-সেনার রাজদ্রোহীদিগকে দণ্ডিত করিতে গিয়া বুঝিতে পারিল, তাহাদের ভারতরক্ষী ভারতীয় সেনাও বিদ্রোহী হইয়া উঠতেছে; এমন কি, অহিংসাধর্ম্মী কংগ্রেসী নেতাগণও অহিংসাধর্ম্ম ভুলিয়া আজাদ-হিন্দ্-সেনা ও তাহাদের নেতাজীর জয়ধ্বজা তুলিয়া ব্রিটিশকে ভয় দেখাইতেছে। দ্বিতীয়তঃ, ঐ আজাদ-হিন্দ্-সেনার প্রায় চৌদ্দ আনা সেনানীই মুসলমান, এবং তাহারাও একজন