পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
জয়তু নেতাজী

সহজ ব্যাখ্যাও হইল; মানুষ আবার স্থির হইল,―বাণী যেমনই হৌক, ব্যক্তির দিকে চাহিয়া তাহারা সাক্ষাৎ স্বাধীনতালাভের আকাঙ্ক্ষা দমন করিতে শিখিল। ইহাই হইল জনমন-রূপ যন্ত্রটিকে পরীক্ষার দ্বারা সেই প্রথম কার্য্যোপযােগী করিয়া লওয়া। ক্রমে রাজনীতি বা স্বাধীনতালাভ প্রভৃতির প্রয়োজন গৌণ হইয়া ধর্ম্মনীতির কৃচ্ছ-সাধন, আত্ম-শােধন প্রভৃতিই মুখ্য হইয়া উঠিল―ভারতীয় জনগণকে তাদের চিরাভ্যস্ত সংস্কারে সচেতন করিয়া তোলাই হইল―গনচেতনার উদ্বোধন; ইহারই ইংরেজী নাম―mass-awakening! উত্তেজনার উপায়-স্বরূপ রাজনীতির একটা অছিলামাত্র বজায় রাখিয়া, গান্ধী ভারতের জনমনকে স্বকীয় উদ্দেশ্যসাধনের অনুকূল করিয়া তুলিলেন। সেই উদ্দেশ্য কি? পরে সবিস্তারে বলিব। আমি অতিশয় সংক্ষেপে গান্ধীর অতি ধীর, প্রতীক্ষাপ্রবণ অথচ গৃঢ়সন্ধানী নীতির আভাসমাত্র দিলাম। উহাতেই ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রাম (শষে দাঁড়াইল―ধর্ম্মজীবনের উন্নতি, ব্যক্তির আত্মশুদ্ধি, সর্ব্ব দুঃখ ও দুর্গতি সহ্য করিবার সাধনা―ইংরেজীতে যাহাকে―negative বলে, সেইরূপ সিদ্ধিলাভ। এই গ্রন্থে সুভাষচন্দ্র তাহার একটি উদাহরণ দিয়াছেন। এক বাংলার প্রাদেশিক সম্মেলনে (যশােরে) ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতালাভের দাবী অগ্রাহ্য করিয়া আধ্যাত্মিক মুক্তিলাভই কাম্য বলিয়া একটি প্রস্তাব অধিকাংশের সমর্থনে গৃহীত হইয়াছিল। ইহার পর সুভাষচন্দ্র লিখিতেছেন―

 "To make matters worse, political issues would no longer be considered in the cold light of reason, but would be unnecessarily mixed up with ethical issues. The Mahatma and his followers, for instance, would not countenance the boycott of British goods because that would engender hatred towards the British". (P. 163)