পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২০৩

প্ররোচনায় গান্ধীহস্তে আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন। এই আকাশবিহারী রংমশালটিকেই গান্ধীর বড় প্রয়ােজন হইয়াছিল। এতদিনে এমন একখানি অস্ত্র লাভ করিয়া অতঃপর সেই সংকটসঙ্কুল অভিযাত্রায় তিনি বিপদের পর বিপদ লঙ্ঘন করিয়া কংগ্রেসকে যেমন নিজের পাদপীঠতলে, তেমনই জনসাধারণের হৃদয়বেদিকার তুলসীমঞ্চে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করিলেন। জনসাধারণকে তিনি ইহার বহুপূর্ব্বে জয় করিয়াছিলেন―রাজনৈতিক নেতা, স্বাধীনতা-সংগ্রামের সেনাপতিরূপে নয়, ধর্মগুরু মহাত্মারূপে এতদিনে স্বাধীনতার নাম ও অর্থ অন্যরূপ দাঁড়াইয়াছে, এবং অহিংসা ও চরকা এই দুইয়ের বাহিরে যাহা কিছু―তাহার সকল চিন্তা মহাত্মাকে ছাড়িয়া দিয়া জনগণ নিশ্চিন্ত হইয়াছে; কেবল মাঝে মাঝে ঐ কংগ্রেসের মারফতে মহাত্মার আদেশলাভ করিয়া, এবং তাহাই অন্ধভাবে পালন করিয়া দলে দলে জেলে যাওয়া এবং পুলিশের হাতে মার খাওয়াই তাহাদের একমা কাজ হইয়াছে,―কেন, কি জন্য, সে প্রশ্ন করিবার অধিকারও তাহাদের নাই। আরও একটি কাজ―নিজেরা খাইতে পাক বা নাই পাক―একটা না একটা ফণ্ডে চাঁদা দিতে হইবে। এই চাঁদা সংগ্রহ করার যে মহৎ উদ্দেশ্য―মহাত্মার মাহাত্ম্যের তাহাও একটা বড় প্রমাণ। ইহারই নাম ব্রিটিশের সহিত যুদ্ধ, ইহাই স্বাধীনতালাভের প্রকৃষ্ট পন্থা। ইহার পর, ঐ কংগ্রেসনামক সভাকে―ব্রিটিশের সহিত কথাবার্তা (negotiatons) চালাইবার একটা বৈঠকরূপে খাড়া রাখিয়া, এবং কয়েকজন বলিষ্ঠ ভক্তের হাতে উহা ছাড়িয়া দিয়া, গান্ধী এইবার তাঁহার স্বকীয় অভিপ্রায়-সাধনে প্রায় নিষ্কণ্টক হইলেন। তখন গান্ধী-আরউইন চুক্তি, গােলটেবিল-বৈঠক, সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা, ওয়াভেল-প্রস্তাব এবং শেষে ক্যাবিনেট-মিশনের রোয়দাদ―ব্রিটিশের যত কিছু