পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১০
জয়তু নেতাজী

উপায়ে ঐ জনগণকে শান্ত করিতে হইল―গবর্ণমেণ্ট তাহাতে বড়ই খুসী হইল। গান্ধী তখন হরিজনদের সমস্যায় অধীর হইয়া প্রায়োপবেশন করিলেন। এই গ্রায়োপবেশন গান্ধী-লীলার একটি মহাপর্ব্ব হইয়া আছে। জনগণ তাঁহার সেই মৃত্যুপণ দেখিয়া সব ভুলিয়া গেল, আসমুদ্র হিমাচল সমুদয় ভারত নিশ্বাস রোধ করিয়া মহাত্মার প্রাণ-রক্ষা কামনা করিল। তারপর, পুণা-চুক্তি প্রভৃতি যাহা কিছু ঘটিল তাহার বিবরণ অনাবশ্যক। কিন্তু সেই হইতে ব্রিটিশের সহিত স্বাধীনতা-সংগ্রাম প্রায় সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হইল। এতদিনে গান্ধী বুঝিতে পারিলেন, তাঁহার পূর্ব্বের নীতি আর চলিবে না, তাহা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হইয়াছে। ঐ প্রোয়োপবেশন সম্বন্ধে সুভাষচন্দ্র লিখিয়াছেন―

 “People began to ask if, after all, it was worth while for the Mahatma to have staked his life for such an issue, specially when the Communal Award was from start to finish an objectionable document.” (P. 345).

 অর্থাৎ ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’র মত একটি হাতি গিলিবার পর ঐ ছোট মাছিটায় এত আপত্তি কেন? উহার জন্য মহাত্মা তাঁহার মহামূল্য জীবন বিপন্ন করিতে গেলেন কেন? কেন, তাহা সুভাষ কি ত্রিপুরীর পরেও বুঝিতে পারেন নাই? তখনও কংগ্রেসের অত বড় সমস্যা তুচ্ছ করিয়া তিনি রাজকোটের জন্য প্রাণ-ত্যাগ করিতে গিয়াছিলেন কেন? অর্থ অতিশয় সরল―কিন্তু প্রাণ ষে বুঝিতে চায় না! হঠাৎ এই যে পন্থা-পরিবর্ত্তণ, অর্থাৎ রাজনীতি ছাড়িয়া, যুদ্ধ ত্যাগ করিয়া, হরিজন-সমস্যাকেই একমাত্র সমস্যা করিয়া তোলা―এ সম্বন্ধে তাঁহাকে প্রশ্ন করিলে―

 “He gave replies that were rather confusing or he did not reply at all, which led people to think that he preferred social work to political. This lead of the Mahatma was naturally followed more