পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২১১

by his blind admirers and by those who were tired of repeated suffering and imprisonment and wanted a convenient excuse for giving up the political fight (P 347)

 এখানে, আমি ঐ শেষ-বাক্যটির প্রতি পাঠকের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি; আজিকার দিনে উহার অর্থ আরও সুস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। আজ মহাত্মা-শিষ্য, বড় বড় কংগ্রেসী যোদ্ধাগণ, যে চরিত্র ও মনোভাবের পরিচয় দিতেছেন, তাহা কিছুমাত্র আশ্চর্য্যজনক নয়। ইঁহারা গান্ধীর আদেশে একটা আলেয়ার পশ্চাতে ছুটিয়া বহু কষ্ট ভোগ করিয়া শেষে হতোদ্যম ও নিরাশ্বাস হইয়া পড়িয়াছিলেন। মহাত্মার নেতৃত্ব ছাড়া তখন অন্য গতি ছিল না, অথচ ব্রিটিশের সহিত যুদ্ধ চালাইবার হুকুম নাই―স্বাধীনতার সেই লক্ষ্যটা পর্য্যন্ত প্রায় দৃষ্টি-বহির্ভূত হইয়া পড়িয়াছে। সেই অবস্থাই স্থায়ী হইয়া উঠিয়াছিল। যুক্তি, বিচার ও বাস্তবদৃষ্টি নিষিদ্ধ হইয়াছে―কেবল একটা নিবৃত্তি-মার্গ ছাড়া আর কোন পন্থার নির্দেশ নাই। এমন অবস্থায় যাহার বাধ্য হইয়া বদ্ধ হইয়াছিল তাহাদের ভিতরে মনুষ্যত্ব ও চবিত্রবল বেশিদিন জীবিত থাকিতে পারে না; আজ তাহাদিগকে গালি দিয়া কি হইবে? ইহার পর সুভাষচন্দ্র ঐ প্রায়োপবেশন সম্বন্ধে আরও লিখিয়াছেন―

 Another theory has been put forward to explain the Mahatma s conduct. It is advanced that he realised the ultimate failure of the movement and therefore wanted to create out of it another movement which would be of benefit to his countrymen ....... Whatever the real explanation may be, there is no doubt that the pact served to side-track the Civil Disobedience movement and cause a diversion of men, money and public enthusiasm to the anti-touchabilitv (or ‘Harijan’) campaign (Pp. 347-48)

 ইহার পর তিনি একটি উপমাও দিয়াছেন,—সে যেন যুদ্ধ চালাইবার কালে, যুদ্ধ বন্ধ করিয়া সৈন্যগণকে সহসা আদেশ করা হইল,―জনপদ-