পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২১৭

পণ্ডিত জবাহরলাল তাঁহার জীবন-দেবতা বা সৌভাগ্য-দেবতার নির্দ্দেশ তখন হইতেই অকুতোভয়ে পালন করিতে সুরু করিয়াছেন। করাচী-কংগ্রেসে এই চুক্তি সারা ভারতের নামে স্বাক্ষরিত হইয়া গেল। এই কংগ্রেসের সভাপতি হইয়াছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, তিনি লাহোর-কংগ্রেসের পূর্ণস্বাধীনতা-সংকল্প উড়াইয়া দিলেন, এবং ভারতের জন্য ডোমিনিয়ন-মার্কা স্বাধীনতাই যথেষ্ট বলিয়া স্থির করিলেন। তখন মতিলাল নেহেরুর মৃত্যু হইয়াছে, সুভাষচন্দ্র তাহাই স্মরণ করিয়া গভীর দুঃখ প্রকাশ করিয়াছেন।

 ইহার পর দ্বিতীয় গোলটেবিল-বৈঠকে কংগ্রেস গান্ধীকেই একমাত্র মুখপাত্র করিয়া পাঠাইল। সুভাষচন্দ্র লিখিয়াছেন, ইহার মত অসঙ্গত ও অশুভকর আর কিছু হইতে পারে না। মহাত্মাই ইহা চাহিয়াছিলেন নিশ্চয়,―

 “The blind followers could not be expected to criticise him and those who were not his orthodox followers had no influence on him regardless of their character, wisdom or experience.”

 ―এমনই করিয়া ভারতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। যদি কেহ বলে, ভারতবাসী গরু-ভেড়ার মতই চালিত হইয়াছে, এবং এখনও সেইরূপ শাসিত হইতেছে, তবে তাহার জন্য নরক-ব্যবস্থা হইবে। জিন্না সাহেব যখন খোলাখুলি বলিয়া দিয়াছিলেন, ভারতের জনগণ ডিমোক্রেসীর সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত, তখন তাঁহাকে কংগ্রেসের যুধিষ্ঠিরগণ কি গালিই না দিয়াছিল! কিন্তু মহাত্মা ঐ চুক্তির পরে যেন হাতে স্বর্গ পাইয়াছিলেন―ব্রিটিশ জাতির প্রতি তাঁহার চিত্ত অতিশয় বিগলিত হইয়াছিল―

 “In fact before he left for London the Mahatma assured Lord Irwin that he would try his level best for a settlement there, and