পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২০
জয়তু নেতাজী

সহিত যুদ্ধে সেনাপতিত্বে তাঁহার অপূর্ব্ব বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। তিনি লিখিয়াছেন―

 “The Government had no objection to a fast of that kind, and as a matter of fact, thanks to the British News-Agencies, the fast was given wide publicity in the European Press, because it helped to advertise the internal differences of the Indian People” (P. 362)

 গোলটেবিল-বৈঠকেও গান্ধী ইংরাজের মতলব-সিদ্ধির সহায়তা করিয়াছিলেন, তিনি হিন্দু-মুসলমানের বিরোধটা ভাল করিয়াই স্বীকার করিয়াছিলেন। তাহাতেই―পৃথক-নির্ব্বাচন, সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা, ভারতে দুইজাতির উদ্ভব, এবং শেষে ভারত-ভাগ ও পাকিস্তান। কেহ কেহ এমনও বলেন, মহাত্মাকে কারামুক্ত করিলে তিনি সত্যাগ্রহআন্দোলন বন্ধ করিবেন, ইহা গভর্ণমেণ্ট জানিত। কাজেও তাহাই হইয়াছিল, গান্ধীর কারামুক্তির পরেই কংগ্রেস ঐ আন্দোলন বন্ধ করিয়া দিয়াছিল। আন্দোলন বন্ধ করিয়া গান্ধী ভারত গভর্ণমেণ্টকে অনুরোধ করিলেন―সত্যাগ্রহী বন্দীগণকে কারামুক্ত করা হউক। গবর্ণ‌মেণ্ট সে কথায় কর্ণপাত করিল না। ঐ পুণা-চুক্তি এবং গান্ধীর এইরূপ পূর্ণ পরাজয়-স্বীকারের পর, কোন কংগ্রেসী নেতা তাঁহার কার্য্যের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করিতে ইচ্ছা বা সাহস করেন নাই, একমাত্র শ্রীবিঠলভাই প্যাটেল ভিয়েনা হইতে এক ঘোষণাপত্রে লিখিয়াছিলেন―গান্ধীর ঐরূপ নীতি-পরিবর্ত্তন (সত্যাগ্রহের পরিবর্ত্তে হরিজন-আন্দোলন)―"virtually undid the work and the sacrifice of the last thirteen years. It signified a failure of the Civil Disobedience campaign, as also of Mahatma Gandhi’s leadership.”

 কিন্তু আজ একথা কেহই স্বীকার করিবে না, কারণ সেইরূপ