পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২২৭

তিনি তাঁহাকে অগণিত বিপ্লবী বন্দীদের কারামোচন করিবার কথা বলেন নাই, কেবল তাঁহার সত্যাগ্রহীদিগকেই মুক্তি দিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন। ব্রিটিশের অসন্তোষ ও অবিশ্বাস-ভাজন হইবার ভয় তাঁহার এত অধিক ছিল―পাছে ব্রিটিশ রাজশক্তি সন্দেহ করে, তিনি ঐ বিপ্লবীদিগের প্রতি গোপনে সহানুভূতিশীল, তাই যতীন দাসের অনশনে প্রাণত্যাগ ভারতে যে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি করিয়াছিল, তাহাতে তিনি কঠিন মৌন অবলম্বন করিয়াছিলেন। অনশনে প্রাণত্যাগ তিনি কখনও করেন নাই―করিতে হয় নাই, তাই কি সেই অতুলনীয় মনোবল, আত্মার সেই অদম্য বীর্য্য দেখিয়া তিনি মনে মনে সঙ্কুচিত হইয়াছিলেন? ধর্ম্ম বা রাজনৈতিক মতভেদ যেমনই হৌক, কোন মহাত্মা ঐরূপ একটা মহা-অবদান দেখিয়া অবিচলিত থাকিতে পারে? না, যতীন দাস বাঙালী ছিল বলিয়া? বাঙালী যেমন ব্রিটিশের মহাশত্রু, তেমনই যত-কিছু বিপ্লব-বিদ্রোহের, উৎপাত-অশান্তির মূল ঐ বাঙালী। গান্ধী-নীতি ও গান্ধী-ধর্ম্মের এমন মূর্ত্তিমান্ বিঘ্ন আর কোন জাতিই নহে। তাই, গান্ধীর জন্য বাঙালী যত ত্যাগ, যত নির্য্যাতনই বরণ করুক না কেন, তিনি বাঙালীকে কখনও ৰিশ্বাস করিতেন না; তাঁহার কংগ্রেসও বাঙালীকে তাহাদের পথের একটা কণ্টক বলিয়াই মনে করে―তাহাকে লইয়া আজিও দুর্ভাবনার অন্ত নাই। গান্ধী-কংগ্রেসের এই আশঙ্কা মিথ্যা নহে, বাঙালী সুভাষচন্দ্রই তাহাদের সব চেয়ে বড় শক্র―ব্রিটিশের সহিত মৈত্রীবন্ধন এখনও নির্বিঘ্ন হয় নাই। যতীন দাসের সেই আত্মাহুতির কালে গান্ধীর আচরণ সম্বন্ধে সুভাষচন্দ্র লিখিয়াছেন―

 “In this connection the attitude of the Mahatma was inexplicable. Evidently the martyrdom of Jatin Das which stirred