পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
জয়তু নেতাজী

জনগণের দুর্দ্দশার সীমা নাই, ফলে ভারত একটা বিরাট অপঘাতের দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে, ইহার জন্য দায়ী কে? আমার এই কাহিনী হইতে যদি তাহার উত্তর না মেলে, তবে বুঝিব, ভারতের মোহনিদ্রা কখনও ঘুচিবে না, উহাই মহানিদ্রায় পরিণত হইবে।

 [সুভাষচন্দ্রের গ্রন্থ “The Indian Struggle” হইতে আমি এই যে তথ্য ও তত্ত্ব সংকলন করিলাম, ইহার অন্তরালে আমার কোন কুঅভিসন্ধি, অর্থাৎ অসত্য বা অধর্ম্মকে জয়যুক্ত করিবার অভিপ্রায় নাই। গান্ধীকে ব্যক্তিহিসাবে, অথবা গান্ধী-কংগ্রেসকে একটা রাজনৈতিক দলহিসাবে হেয় প্রতিপন্ন করিবার জন্যই, আমি এই আলোচনা করি নাই; আমি কেবল নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ধর্ম্ম ও কর্ম্মমন্ত্র উত্তমরূপে বুঝিবার ও বুঝাইবার জন্য, তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত ঐ অপর ধর্ম্ম ও কর্ম্মের একটা পরিচয় দিবার চেষ্টা করিয়াছি; তাহাতে ভক্তির অভাব থাকিতে পারে, কিন্তু অভক্তির বিদ্বেষ নাই; যতদূর সাধ্য সত্যের সন্ধানই আছে। আজ সারাভারত যাহা বিশ্বাস করিতেছে, তাহাই যদি সত্য ও শুভ হয় এবং আমার এই সন্ধান যদি মিথ্যা হয়, তবে ঐ সত্যই আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হইবে কারণ যাহা সত্য তাহার পরাজয় নাই। কিন্তু যাঁহারা গান্ধী ও গান্ধী-কংগ্রেসের অনুরক্ত হইয়া সুভাষের বন্দনাও করেন, তাঁহারা হয় ভ্রান্ত, নয় ভণ্ড; জনসাধারণ ভ্রান্ত হইলেও, প্রধানগণ নিশ্চয়ই ভণ্ড,―কারণ, বিদ্বান ও বুদ্ধিমান গান্ধীবাদীরা সুভাষচন্দ্রকে দেশের শত্রু বলিয়া মনে করিবেন, ইহাই সঙ্গত; এমন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা করা―তাঁহার কয়েকটা সদগুণের প্রশংসা করা―নিজেদেরই উদারতার পরিচায়ক, তাহাতে সুভাষচন্দ্রকে অবমাননা করাই হয়। এই মিথ্যাচার নিবারণ করাও এই আলোচনার অন্যতম অভিপ্রায়। গান্ধীবাদ ও সুভাববাদের মধ্যে কোন রফা হইতে পারে না, কেবল