পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১॥৴৹

করিয়াছিলেন―বৈবাহিক রাজাগোপালাচারীর মন্ত্রণাকেই তিনি শিরোধার্য্য করিয়াছিলেন। তাঁহারই একান্ত কামনায় ভারতের ত্রিশকোটি প্রজার জীবন-মরণের ভার ঐ কয়েকজনের হস্তে ন্যস্ত হইয়াছে। ভারত-বিভাগও তাঁহারই অনুমতিক্রমে হইয়াছে―বাহিরে তজ্জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করিলেও, ভিতরে তিনিই যে একরূপ জোর করিয়া সকলকে সম্মত করিয়ছিলেন, ইহা গোপন করা সম্ভব হয় নাই। লক্ষ লক্ষ নর-নারীর প্রাণহরণ, ও বাস্তুহরণ যে নীতিঅনুসরণের ফলে ঘটিয়াছে―হিন্দু ও মুসলমানে চির-বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে, সকলই সেই এক নীতি; সেই নীতিকে জয়ী করিবার জন্যই ত্রিপুরীতে সুভাষচন্দ্রকে পরাস্ত করিতে হইয়াছিল।

 আমি সুভাষচন্দ্রকে দেখিয়াছি সেই ত্রিপুরীতে; সেইখানে তাঁহার দেহ ক্রুশবিদ্ধ হইয়াছিল, পরে তাহার সমাধির ব্যবস্থাও হইয়াছিল। তারপর সেই Resurrection―সেই পুনরুত্থান!―আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর নেতাজীরূপে তাঁহার সেই আবির্ভাব! সেই আবির্ভাব কি মিথ্যা? তাহা কি ব্যর্থ হইয়াছে? যথন এই পুস্তক লিখিয়াছি তখন যে ধরণের আশা ছিল তাহাই ইহাতে ব্যক্ত করিয়াছি; আজ সেই ত্রিপুরী-যুদ্ধের ফল ভারত-ভাগ্যে যেরূপ প্রকট হইয়া উঠিয়াছে, তাহাতে মনে হয়, নেতাজীরূপে সুভাষচন্দ্রের সেই যে পুনরাবির্ভাব, তাহা শুধু অলৌকিক নহে―যদি সত্যও হয়, তবে সেইখানেই তাহা শেষ হয় নাই; কারণ, যাহা সত্য তাহা কখনও অসম্পূর্ণ বা নিষ্ফল হইতে পারে না; যদি নিস্ফল হয়, তবে ভারতের আর কোন আশা নাই। মহাত্মাজীর চরকা, অহিংসা ও হিন্দু মুসলমানের মিলন (ঐ শেষেরটির জন্য হিন্দুর হিন্দুনাম-ত্যাগ) এই তিনের যে মহিমা আজ সারা ভারতকে জর্জ্জরিত করিয়াছে, এবং প্রাদেশিকতা-দমনের জন্য