পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৫১

মনে করিয়াছেন। এই কারণটি বুঝিয়া দেখিলে জনগণের ঐ অভিমান অর্থহীন হইয়া পড়ে।

 কিন্তু জন-মন কোনরূপ চিন্তা করে না, কেবল ভাবাবেগের বশীভূত হয়; তাই অতিশয় স্ব-বিরোধী মনোভাব―সম্পূর্ণ বিপরীত আকাঙ্ক্ষাও তাহারা একই কালে পোষণ করে। একথা স্বীকার করিতেই হইবে যে, আজিকার এই স্বাধীনতা, এবং সেই স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠাতা যে গবর্ণমেণ্ট, উভয়কেই দেশের প্রায় সকল মানুষই ভক্তিভরে বরণ করিয়াছে, এবং যাঁহার এই গবর্ণমেণ্টের কর্ণধার তাঁহারাও জনগণের অসীম শ্রদ্ধা অর্জ্জন করিয়াছেন। যদি ইহা সত্য হয়, তবে নেতাজীর জন্যও তাহারা এমন অধীর হয় কেন? কারণ অবশ্য আছে, একাধিক কারণ আছে। প্রথম কারণ, তাহাদের অজ্ঞতা। স্বাধীনতা বস্তুটা যে কি, তাহা অনেকেই জানে না―হৃদয়ে তাহার সত্যকার অভাবও অনুভব করে না। স্বাধীনতার বাস্তব-রূপ সম্বন্ধে তাহাদের কোন ধারণাই নাই―সে একটা ভাব-কল্পনার বস্তু। যখন তাহা ছিল না, তখন কেবল ঐ ‘নাই’-ভাবটার আবেগে তাহারা অনেক হুড়াহুড়ি করিয়াছে―‘কি নাই’ তাহা বুঝিবার আবশ্যক হয় নাই; কেবল ‘তাহা নাই’ এইরূপ একটা ভাবের আবেগই যথেষ্ট ছিল। আবার যখন, ‘তাহা পাইয়াছি’ এই ভাবের আবেগটা অনুভব করিবার একটা উপায় বা উপলক্ষ্য হইল, তখন তাহাতেই জনগণ উৎফুল্ল হইয়া উঠিল―‘কি পাইয়াছি’ সে জিজ্ঞাসা তাহারা করে না। ইহাই মূল কারণ―অর্থাৎ, স্বাধীনতা কাহাকে বলে, সে বিষয়ে নিদারুণ অজ্ঞতা। এইজন্য তাহারা ‘নেতা’-দিগকেই জানে ও মানে―অন্ধভাবেই তাঁহাদের অনুসরণ করে; সবচেয়ে যে দল বড় তাহারই আনুগত্য করে। অর্থাৎ সত্যকার রাজনৈতিক চেতনা এ জাতির