পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৷৷৵৹

‘নেশন’-নামক যে দৈত্য তাহার রক্ত-চক্ষু উন্মীলন করিয়াছে, তাহাতে হিন্দুনামও যেমন, ভারত-নামও তেমনই অচিরে লোপ পাইবে।

 প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় যাহা বলিয়াছিলাম তাহার পরে এই যে আরও কিছু বলিলাম, ইহাতে নূতন কিছু নাই, কেবল, এই অল্পকালের মধ্যে স্বাধীনতা-নামক যে ‘দিল্লী কা লাড্ডু’ (অতি পুরাতন নাম আজিও ৰদলায় নাই।) পাইয়া ভারতবাসী―বিশেষ করিয়া বাঙালী―চক্ষে সরিষার ফুল দেখিতেছে, তাহারই অবকাশে আমার এককালের সেই অতিশয় অপ্রিয় কথাগুলা আর একটু প্রমাণ সহকারে বলিয়াছি। আমি নেতাজীর জবাণীতে, তাঁহারই সেই প্রাণবহ্নির আলোকে, ঐ তথ্য ও তত্ত্বগুলিকে পাঠ করিয়াছিলাম, তাই আজিও তাহা বর্ণে ৰণে সত্য। ইহাও জানি যে, এই পুস্তকে আমি মহাত্মা গান্ধীর নীতি ও তাঁহার আচরণ সম্বন্ধে যে সকল মন্তব্য করিয়াছি,―তাহার যে ভক্তিহীন সমালোচনা কবিয়াছি, তাহাতে―নেতাজীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও, আমার এই নেতাজী-বন্দনা অনেকের পক্ষে কটু ও বিরক্তিকর বোধ হইবে; ইহা যে কত বড় দুঃখের বিষয় তাহা স্বীকার করি। কিন্তু আমি নেতাজী-সত্যকে যেরূপ বুঝি তাহা গান্ধী-সত্যের সম্পূর্ণ বিপরীত, এবং সেই দুই সত্য দুই ব্যক্তির সহিত অবিচ্ছেদ্য হইয়া আছে। গান্ধীজী মহাত্মা হউন, তিনি সারা পৃথিবীর ধর্ম্মগুরু হউন তাহাতে কাহারও আপত্তি নাই, কিন্তু ধর্ম্মপ্রচার ও দেশোদ্ধার-কার্য্য যে এক নহে, ইহা স্বীকার করিতেই হইবে; এক যে নহে তাহার প্রমাণ দিন দিন প্রত্যক্ষ হইয়া উঠিতেছে,―মহাত্মার সেই ধর্ম্মমন্ত্র রাজনীতির সঙ্গে রফা করিতে গিয়া যেমন বিকার প্রাপ্ত হইয়াছে, তেমনই ভারতের সর্বনাশ করিয়াছে,―ইংরেজ তাহার বুকে ঐ যে পাকিস্তানের শক্তিশেল বসাইয়া দিয়াছে, উহার অবস্থানেও