পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৬১

সর্ব্বশেষে সুভাষচন্দ্রের ঐ আজাদী-ফৌজের সমগ্র কাহিনী জানিয়া, এবং গান্ধীজীর সেই ভীতিপ্রদর্শন স্মরণ করিয়া, ঐ স্বাধীনতা দান করিতে রাজী হইল। ইহা যদি সত্য হয়, তৰে দুইটা কথাই স্বীকার করিতে হইবে; প্রথম,―এই স্বাধীনতা-সংগ্রামে সত্যকার অস্ত্র অহিংসা নহে―হিংসাই; এবং দ্বিতীয়তঃ, এই সংগ্রামে প্রথম হইতেই গান্ধীজীর রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল―কাপুরুষ, মৃত্যুভয়-ভীত, এবং সন্ন্যাসী-ফকির-ভক্ত ভারতকে একটা বিশেষ দলের শাসনাধিকারে সমর্পণ। তাহাতে তাঁহার কি লাভ?―সে প্রশ্নের উত্তর এখনও দিবার সময় হয় নাই! তিনি তখন একটা বড় প্রয়োজন বোধ করিয়াছিলেন—ঐ বিপ্লবীদলকে নেতৃত্বচ্যুত করা। তাই ভারতের বিপ্লবী দল ও ইংরাজের মাঝখানে পড়িয়া, ইংরাজের স্বার্থ যতদূর সম্ভব বজায় রাখিয়া, তাহার সহিত একটা লেন-দেনের সম্পর্ক করিয়া, যেটুকু সুবিধা বা অধিকার বাজার-দর অনুসারেই প্রাপ্য, তাহাই আদায় কবিয়া তিনি নিরস্ত হইয়াছিলেন। অহিংসা-অস্ত্রের দ্বারা তিনি জনগণকে বশীভূত করিয়াছিলেন, এবং ইংরাজকে হিংসার ভয় দেখাইয়া, তাঁহার ঐ অহিংসা তাহদের পক্ষে কিরূপ সুবিধাজনক―কতটা মন্দের ভালো―তাহাই ক্রমাগত বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। সে কিন্তু তাহা বুঝিবে না, তিনিও ছাড়িবেন না। ভারত যে এখনও পূর্ণ স্বাধীনতালাভের যোগ্য হয় নাই, তিনি ইহাই বিশ্বাস করিতেন। তাই ব্রিটিশসম্পর্ক-বর্জ্জিত স্বাধীনতাকে তিনি ভয় করিতেন; এবং এইজন্যই সুভাষচন্দ্রের ঐ নীতি ও কর্ম্ম-পদ্ধতি আদৌ সহ্য করিতেন না। ভারতশাসন-কার্য্যে যেটুকু কর্তৃত্ত্বের প্রয়োজন―তাঁহার, স্বকীয় উদ্দেশ্য-সাধনের জন্য আবশ্যক―তাহাই যথেষ্ট। সুভাষচন্দ্র তাহাতেই সন্তুষ্ট নহেন। এইখানেই