পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬২
জয়তু নেতাজী

আসল বিরোধ। কিন্তু সুভাষকে বা সুভাষের ঐ সহিংস উপদ্রবকেও তাঁহার প্রয়োজন ছিল―ব্রিটিশকে ভয় দেখাইয়া তাঁহার সহিত একটা রফা করাইবার জন্য। পরে তাহাই বড় কাজে লাগিয়াছিল। অধ্যাপক বিনয় সরকার মহাশয় এই কথাটাই বলিতে চাহিয়াছেন। গান্ধীজী তাঁহার অহিংসাকেই অর্থাৎ শান্তি-পন্থাকেই জয়যুক্ত করিবার জন্য হিংসার সাহায্য লইতে কিছুমাত্র অনিচ্ছুক ছিলেন না; কেবল, সেই হিংসার অস্ত্র তিনি নিজে স্পর্শ করিবেন না। বৱং―“গান্ধীর হিংসাবাদী সহকর্ম্মীরা যে পাপ করিত তাহার প্রায়শ্চিত্বের উপায়-স্বরূপ গান্ধীর ‘অহিংসা’ ব্যবহার করা সম্ভবপর ও সুবিধাজনক ছিল। প্রয়োজন হইলে গান্ধী তাঁহার অহিংসা-নীতিকেও শিকায় তুলিয়া রাখিতে কুণ্ঠিত হইতেন না। দৃষ্টাস্তস্বরূপ বলা যায় যে, তিনি ১৯৪২ সালের ‘ভারত ছাড়’-প্রস্তাব সম্পর্কে তাঁহার অহিংসানীতিকে ছুটি দিয়াছিলেন।”

 অধ্যাপক সরকার ইহার আরও দৃষ্টান্ত দিয়াছেন, যথা:―

 “১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট তারিখে ভারতীয় ডোমিনিয়ন গঠিত হইলে, গান্ধী হিংসাকেই ভারত-সস্তানের পক্ষে প্রথম স্বীকার্য্য বলিয়া গ্রহণ করিলেন। সৈন্যবাহিনী, নৌবাহিনীও বিমান ৰাহিণীকে নির্ব্বিবাদে ভারতীয় ডোমিনিয়নের অপরিহার্য্য অঙ্গরূপে তিনি গ্রহণ করিয়াছিলেন।”

 “কি বাহ্যিক, কি আভ্যন্তরীণ―সকল ক্ষেত্রেই হিংসার দ্বারা হিংসার প্রতিকার করিতে হইবে, এই তত্ত্ব তিনি তাঁহার অহিংসামন্ত্রের অন্তর্গত করিয়া লইয়াছিলেন।”

 আমরা জানি, গান্ধীভক্তগণ ইহা স্বীকার করিবেন না; বরং ইহার প্রতিবাদে, ঐ স্বাধীনতালাভের পরেও গান্ধীজী অহিংসা-ধর্ম্মের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য কি কঠিন তপস্যা করিয়াছিলেন, এবং