পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৬
জয়তু নেতাজী

নিজেদের স্বার্থ ও সুখ-সুবিধার মাপে কাটিয়া ছাঁটিয়া লইতে চায়, তাহাদিগকেই অবিশ্বাসী বলিয়াছি। এই অবিশ্বাসীদের নিকটেই সুভাষচন্দ্রের সকল কীর্ত্তিই মূল্যহীন। ইহাদিগকে বুঝাইবার বা বিশ্বাস করাইবার চেষ্টাই নিষ্ফল।

8

 নেতাজীর সেই পন্থা যে ভ্রান্ত ও অকল্যাণকর ছিল, এবং গান্ধীমন্ত্রই যে ভারতকে―শুধুই রাজনৈতিক সঙ্কট নয়,—একটা আধ্যাত্মিক সঙ্কট হইতে রক্ষা করিয়াছে, এমন কথা এখনও প্রচারিত হইতেছে। হয়তো মিথ্যা যতই অপ্রতিষ্ঠ হইয়া উঠে, ততই বৃহত্তর মিথ্যার সৃষ্টি করিতে হয়। গান্ধী-কংগ্রেসের মূর্ত্তি যতই সুপ্রকট হইয়া উঠিতেছে ততই গান্ধী-নীতিকে বাঁচাইয়া ঐ কংগ্রেসকেই ধর্ম্মভ্রষ্ট বলিয়া গালি দেওয়া আবশ্যক হইয়াছে―অর্থাৎ, বিচারটাকে কারণমুখী না করিয়া মোহটাকেই বজায় রাখিতে হইবে। সম্প্রতি একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তিকেও এমন কথা বলিতে দেখিয়া আমরা বিস্মিত হইয়াছি, যে―

 “রক্তাক্ত বিপ্লবকে এড়াইয়া মহাত্মা বৈদেশিক শাসন-পাশ হইতে ভারতবর্ষকে মুক্ত করিয়া যে আত্মিক সর্ব্বনাশের পথ হইতে জাতিকে রক্ষা করিয়াছিলেন, মহাত্মার অভাবে ইঁহারা (কংগ্রেস-নেতাগণ) পথভ্রষ্ট হইয়া সেই সর্ব্বনাশকেই অনিবার্য্য করিয়া তুলিয়াছেন।”

 এই একটি কথার মধ্যে ঐতিহাসিক ঘটনার কার্য্যকারণ-তত্ত্বও যেমন, তেমনই সহজ যুক্তিকেও লঙ্ঘন করা হইয়াছে। যাহা এত শীঘ্র নষ্ট হইয়া যায় তাহার বিনাশ-বীজ কি সেই বস্তুর উৎপত্তির মধ্যেই ছিল না? মহাত্মার মৃত্যু হইবামাত্র যদি তাঁহার শিষ্যেরা