পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৮
জয়তু নেতাজী

আধ্যাত্মিক সহিষ্ণুতা আরও কিছুকাল বজায় থাকিত, তাহারা মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর হইয়াও চীৎকার করিত না। কিন্তু ঐ মুক্তি-বস্তুটার কি কোন রূপান্তর হইত? যে মন্ত্রের যাহা ফল, তাহাই হইত―গান্ধীজী সেই ফলটাকে গালি দিতেন, কিন্তু মন্ত্রটাকে ত্যাগ করিতেন না। ঐ শিষ্যগুলিকে আশীর্ব্বাদও করিতেন, আবার জনগণের দিকে চাহিয়া কাঁদিতেন, এবং প্রয়োবেশনের দ্বারা―সকল পাপের প্রায়শ্চিত্তও করিতেন। গান্ধীজী বাঁচিয়া থাকিলে ইহার বেশি কিছু হইত না; ঐ কংগ্রেসী নেতৃবর্গ তখনও ভালো করিয়াই তাঁহার পূজা করিতেন, এবং পূজার ফলস্বরূপ চতুর্ব্বৰ্গ ভোগ করিতেন। অতএব, এখনও গান্ধীজীর নাম করিয়া ঐ নেতৃবর্গকে গালি দিলে কি হইবে? গান্ধীজীর অন্তরঙ্গ শিষ্য যাহারা, যাহারা এতকাল গান্ধীজীর সঙ্গে যোগযুক্ত হইয়া ঐ মন্ত্রের সাধনা করিয়াছে, তাহাদের চেয়ে আর কেহ উহা বেশি জানে? মোহ কি কিছুতেই ঘুচিবে না? তারপর―

 “ব্যর্থ হইলে (গান্ধী-নীতির পরাভব হইলে), অর্থাৎ রক্তাক্ত বিপ্লবের পথে এই কার্য্য সাধিত হইলে, সেই রক্তস্রোতে শুধু ইংরেজ ভাসিয়া যাইত না, ভারতবর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যও ভাসিয়া যাইত। ইংরেজের সাম্রাজ্য যাইত, কিন্তু পাশ্চাত্য জীবনবাদের নীতিহীন প্রেমহীন জীবন-ধর্ম্ম ভারতবর্ষে কায়েম হইয়া থাকিত।”

 এখানে লেখক স্পষ্টই নেতাজীর সেই প্রয়াসকে অতিশয় কঠিন আক্রমণ করিয়াছেন। ইহার উত্তরে প্রথমেই বলিতে হয়― “Forgive them, Father, for they know not what they do”। পাপমাত্রেই অজ্ঞান-প্রসূত, তথাপি, এমন পাপও আছে, যাহা অজ্ঞানকৃত হইলেও মানুষকে স্তম্ভিত করে; শুধুই পাপীর জন্য নয়, মানুষমাত্রেরই