পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৭১

―তাঁহাদের মত কি? না, তাহারা অতিশয় সংঙ্কীর্ণচেতা এবং মূর্খ―আধুনিক রাজনীতিবিদ্ পণ্ডিত এবং সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় প্রবন্ধ লেখকেরাই হিন্দুর ঐতিহ্য সম্বন্ধে শ্রেষ্ঠ অথরিটি? আমার আপত্তির কারণ আর কিছুই নহে―গুরুবাদ বা গুরুভক্তির নিন্দা আমরা করিব না, কারণ আমরাও হিন্দু। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ধর্ম্মমতকে―বিশেষতঃ যে ধর্ম্মমত একটা রাজনীতির দ্বারা দূষিত ও খণ্ডিত বলিয়া খাঁটি হিন্দুমত নয়―সেই ধর্ম্মমতকে ভারতের ঐতিহ্য-নামে প্রচার করিবার সময়ে আর একটু সাবধান হওয়া উচিত। কারণ, ভারতের এখন সত্যই বড় দুঃসময়; নানা বিজাতীয় মতবাদের আক্রমণে, এবং ঘরেই একটা অতি-বিরুদ্ধ ধর্ম্মসম্প্রদায়ের সংঘর্ষে, তাহার আত্মা নিহত হইবার উপক্রম হইয়াছে। এ সময়ে তাহার সেই স্বধর্ম্ম সম্বন্ধে―তাহার যুগ-যুগান্তরের ঐতিহ্য সম্বন্ধে―কোন ভুল ধারণা জন্মাইলে, সে একেবারেই তলাইয়া যাইবে; যদি এতটুকু ভুল করে, তবে আর রক্ষা নাই। অতএব, যাঁহারা বুদ্ধিমান ও চিন্তাশীল, এবং যাঁহারা তাঁহদের চিন্তা ও উপদেশের দ্বাবা জনগণকে শিক্ষিত করিবার ভার লইয়াছেন, তাঁহাদের দায়িত্ব বড়ই গুরুতর। ভারতের ঐতিহ্য লইয়া এইরূপ টানাটানি না করিলেই ভাল হয়। সে ঐতিহ্য এত বিপুল, বিচিত্র ও গভীর যে, কোন এক ক্ষুদ্র কালের একটা মানুষই তাহার বাহন হইতে পারে না -অবতারের কথা স্বতন্ত্র। ইহাও মনে রাখিতে হইবে যে, ‘রক্তাক্ত বিপ্লবে’র অর্থ যেমনই হৌক―হিংসা ও অহিংসার বিরোধ ভারতবর্ষ যেমন মিটাইয়াছে, পৃথিবীর আর কোন জাতি তেমন পারে নাই। একহিসাবে তাহাই ভারতের শ্রেষ্ঠ গৌরব  উপরের ঐ প্রসঙ্গেই আমরা আর একটি কথা বলিয়া আজিকার