পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৪৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
জয়তু নেতাজী

সেই কবির দৃষ্টি, তাঁহার সেই বাণী আমাদিগকে চমকিত করে, তাঁহার সেই বাণীকে আমরা ভষ্যিৎ-বাণী বলিয়াই মনে করি; কিন্তু আসলে তাহা ভবিষ্যৎ-বাণী নয়―শাশ্বত-সত্যের বাণী, তাঁহার সেই কাব্যে আমরা মহাকালের সেই নৃত্যচ্ছন্দই হৃদয়গোচর করি।

 আমি যে উপস্থিত কোন্ ঘটনার কথা বলিতেছি তাহা আপনারা বোধ হয় ইতিমধ্যে অনুমান করিয়াছেন; বর্ত্তমানে আসমুদ্রহিমাচল সমগ্র ভারত যাহা দেখিয়া শুধুই উচ্চকিত নয়―উজ্জীবিত হইয়াছে, আমি সেই নেতাজী সুভাষচন্দ্র ও তাঁহার আজাদী ফৌজের অপূর্ব্ব কীর্ত্তির কথাই বলিতেছি। আজ এই ঘটনার কথা সকলেই জানেন, অতঃপর ইহার ইতিহাসরচনাও হইবে; কিন্তু এ ঘটনার ঋক্-মন্ত্র-গাথা পূর্ব্বেই রচিত হইয়াছে―সাহিত্যিক আমি তাহাতেই অধিকতর বিস্মিত হইয়াছি। একটি আমাদের ভাষায় আমাদেরই কবির রচিত―তাহার কথা পরে বলিব; আর একটি এক ইংরেজ কবির রচনা। যে দুই জাতি পরস্পর বিপক্ষ হইয়া এই ঘটনানাট্যের অভিনয় করিতেছে, ঠিক সেই দুই জাতির দুই কবি-প্রতিনিধি এই যজ্ঞের সাম-মন্ত্র রচনা করিয়াছেন―ইহাও একটি আশ্চর্য্য যোগাযোগ বটে। সুইনবার্নের যে কবিতাটিকে এইরূপ দিব্যপ্রেরণার উদ্‌গীথ বলিয়া মনে হয়, বাংলা ছন্দে তাহার সেই বাণীরূপ ও উদাত্ত-গম্ভীর ছন্দধ্বনি ধরা যাইবে না, তথাপি আমি এককালে এই কবিতাটির যে